ওজুতে নিম্নলিখিত কাজগুলি মুস্তাহাব। এই সমস্ত কাজের প্রতি যত্নবান থাকিলে ওজুর সৌন্দর্য ও ফজিলত বৃদ্ধি পায়।
(১) কাবা শরীফের দিকে মুখ করিয়া ওজু করা।
(২) পানির পাত্র বাম পার্শ্বে রাখিয়া ওজু করা।
(৩) ওজু আরম্ভ করিবার পূর্বে এই দোয়া পড়া-
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহিল্ আলিয়্যিল, আজীম, ওয়াল্ হামদুলিল্লাহে আ’লা,
দীনি ইসলাম; আল্-ইসলামু হাক্কুন ওয়াল্ কুফরু বাতেল, আল-ইসলামু নূরূন্ ওয়াল্ কুফরু জুলমাহ্।
অর্থাৎ, সর্বশ্রেষ্ঠ-সর্বমহান আল্লাহ্ নামে ওজু আরম্ভ করিতেছি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ তায়ালারই প্রাপ্য-যিনি আমাকে দ্বীন-ইসলামের উপর রাখিয়াছেন। ইসলাম সত্য এবং আলোক স্বরূপ আর কুফরী মিথ্যা ও অন্ধকারতুল্য।
(৪) ডান দিক হইতে ওজু আরম্ভ করা, অর্থাৎ, হাত ধৌত করার সময় প্রথমে ডান হাত এবং পা দৌত করার সময় প্রথমে ডান পা ধৌত করা।
(৫) বাম হাতের কনিষ্ঠা ও বৃদ্ধাঙ্গুলির সাহায্যে নাক সাফ করা ।
(৬) ওজুর প্রত্যেক অঙ্গ ধৌত করার সময় নির্দিষ্ট দোয়া পড়া।
(৭) ঘাড় মাসেহ্ করা (উভয় হাতের পিঠ দ্বারা)।
(৮) প্রত্যেক অঙ্গ ভাল রকম ঘষিয়া ধৌত করা।
(৯) প্রত্যেক অঙ্গ নির্দিষ্ট পরিমাণ স্থান হইতে কিছু বেশী ধৌত করা।
(১০) উভয় পা শুধু বাম হাতের সাহায্যে ধৌত করা।
(১১) ওজর না থাকিলে কাহারও সাহায্য না লইয়া ওজু করা ।
(১২) ওজু করিবার সময় কোন রকম কথাবার্তা না বলা।
(১৩) ওজুর পানি কিছু অবশিষ্ট থাকিলে দাঁড়াইয়া পান করিয়া ফেলা।
(১৪) ওজু করা শেষ হইলে নিম্নলিখিত দোয়া পড়া-
উচ্চারণ : আল্লাহােম্মাজ্য়ালনী মিনাত্তউওয়াবীনা ওয়াজয়ালনী মিনাল্ মােতাতাহহিরীন।
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমাকে তওবাকারী এবং পবিত্রতা হাসিলকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর।
(১৫) নামাজের সময়ের পূর্বেই ওজু করতঃ নামাজের জন্য অপেক্ষা করা।
কোন অঙ্গ ধৌত করিতে কোন্ দোয়া পড়িবে?
মুখমণ্ডল ধৌত করিবার সময়ে পড়িবে-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বাইয়েদ ওয়াজহীয়া ইয়াওমা তাব্ইয়াদ্যু উজুহুন, ওয়াতাসওয়াদ্দু উজুহ্।
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! যেইদিন কতক লােকের চেহারা উজ্জল এবং কতক লােকেরল চোহারা মলিন হইবে, সেইদিন আমার চেহারাকে তুমি আলােক্যজ্জল করিও।
—————————————-
ডান হাত ধৌত করার সময় পড়িবে-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আ’তেনী কিতাবী বিয়ামীনী ওয়া হা-সিনী, হিসাবাঁই ইয়াসীরা।
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমার আমলনামা আমার ডান হাতে দান করিও, আর
আমার সহজ হিসাব-নিকাশ করিও।
—————————————-
বাম হাত ধৌত করার সময় পড়িবে-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লা তু’তেনী কিতাবী বিশেমালী ওয়ালা মিও ওয়ারায়ি জাহরী।
অর্থাৎ, হে খােদা! আমাকে আমার বাম হাতে আমলনামা দিও না, অথবা আমার পিছন দিক হইতে দিও না।
—————————————-
নাক পরিষ্কার করিবার সময় পড়িবে-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আরেহনী রায়েহাতাল জান্নাতে ওয়ালা তুরেহনী রায়েহাতান্নার ।
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! বেহেশতের সুবাস ও সৌরভ আমাকে দান করিও; দোযখের দুর্গন্ধ আমাকে অনুভব করাইও না।
—————————————-
মাথা মাসেহ করিবার সময় পরিবে-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আজেল্লিনী তাহ্তা জিল্লি আরশেকা ইয়াওমা রা জেল্লা ইলা জিল্লুহু।
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! কেয়ামতের দিন তােমার আরশের ছায়া ভিন্ন আর কোনই
ছায়া যখন থাকিবে না, তখন তুমি আমাকে উহার ছায়াতলে স্থান দিও।
—————————————-
কান মাসেহ করিবার সময় পড়িবে-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাযয়া’লনী মিনাল্লাজীনা ইয়াস্তামেউনাল্ ক্বাওলা ফাইয়াত্তাবেউনা আহ্সানাহু।
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! সদুপদেশ যাহারা ত্বদনুযায়ী আমল করে, আমাকে তাহাদের অন্তর্ভুক্ত করিও।
—————————————-
ঘার মাসেহ্ করিবার সময় পড়িবে-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আ’তেক্ব রাক্ববাতী আনিন্নার।
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমার গর্দানকে দোজখ হইতে বাঁচাও।
—————————————-
পা ধৌত করার সময় পড়িবে-
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ছাব্বেত ক্বাদামী আলাছছেরাতে ইয়াওমা তাজেল্লুল আক্বদামু।
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! যেইদিন অনেকেই পুলছেরাত হইতে পিছলাইয়া পড়িয়া যাইবে, সেইদিন তুমি আমাকে পুলছেরাতে দৃঢ়পদে টিকিয়া থাকার শক্তি দিও।
ওযুর গুরুত্ব ও ওজুর ফজিলত | হালিশহর নিউজ
ওজুতে সুন্নত্ কি কি? জেনেনিন ওযুর সুন্নাত সমূহ | হালিশহর নিউজ
Leave a Reply