ওযুর গুরুত্ব ও ওজুর ফজিলত
হযরত আবু-হােরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ্ (দঃ) বলেন-
অর্থাৎ, আমি কি তােমাদিগকে এমন বিষয় বলিয়া দিব না, যাহার বরকতে আল্লাহ্ তায়ালা বহু গুনাহ্ মাফ করিবেন এবং তাহার দরবারে তােমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাইবে? সাহাবায়ে-কেরাম আরজ করিলেন-হ্যা, বলুন ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (দঃ) তখন তিনি বলিলেন- আলস্য ও শীত-কষ্টের সময়ে যখন মন চায় না, তখন কষ্ট স্বীকার করতঃ ওজু করা এবং অধিক পরিমাণে মসজিদের দিকে (নামাজের
উদ্দেশ্যে) গমন করা।
ওযুর গুরুত্ব ও ওজুর ফজিলত
আঁ-হযরত (দঃ) আরও বলেন-
অর্থাৎ, কেয়ামতের দিন আমার উম্মতগণকে এমন অবস্থায় পেশ করা হইবে যে, তখন তাহাদের চেহারা দুনিয়ায় থাকিতে যে ওজু করিয়াছিল, উহার বরকতে এমন ঝকমক করিতে থাকিবে-যেমন ঘােড়ার কপালে চাঁদ উজ্জ্বল দেখায়।
সুতরাং যে-ব্যক্তি নিজের চেহারাকে কেয়ামতের দিন অধিকতর উজ্জ্বল করিতে চায়, তাহার অধিক ওজু করা উচিত অপর এক হাদীসে আছে- “কেহ যখন উত্তমরূপে ওজু করে, তখন ওজুর পানি শরীর হইতে গড়াইয়া পড়ার সাথে সাথে তাহার কোন কোন গুনাহ্ ঝরিয়া যায়।”
ওযুর গুরুত্ব ও ওজুর ফজিলত
আমাদের মাজহাবের ইমাম হযরত আবু-হানীফা (রহঃ) সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তাঁহার ওজুর সময়ে কোন্ গুনাহটি ঝরিয়া গেল, তাহা তিনি টের পাইতেন।
তিরমিজী শরীফে বর্ণিত এক হাদীসে আছে যে, হযরত রাসূলুল্লাহ (দঃ) নামাজকে বেহেশতের চাবি এবং ওজুকে নামাজের চাবি স্বরুপ বলিয়াছেন
ওযুর গুরুত্ব ও ওজুর ফজিলত
বস্তুতঃ, বিনা ওজুতে নামাজ পড়া দুরুস্ত নাই- শুধু এই হুকুম হইতেই ওজুর গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায় ।
Leave a Reply