1. admin@halishaharnews.com : halishaharnews com : halishaharnews com
  2. varasheba01@gmail.com : Md Sajjad Hossen : Md Sajjad Hossen
ইসলামের স্বর্ণযুগের কাহিনী-প্রকৃত মুসলমান কেমন ও মুসলিম বিশ্বের ইতিহাস
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে মাসব্যাপী ঈদ বস্ত্র, জামদানী ও ক্ষুদ্র শিল্প মেলা উদ্বোধন ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া হবে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ছোট ফ‍্যামিলি ঘর ভাড়া দেওয়া হবে। Halishahar News খুলশী এলাকায় রেডি ফ্লাট বিক্রি করা হবে। আগ্রহীগন যোগাযোগ করুন। মির্জাপুল এলাকায় বাসা ভাড়া দেওয়া হবে। halishsahar news একটি শোক সংবাদ – আমেরিকা প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের মা ইন্তেকাল করেছেন Cox Hill Tower in Cox’sbazar | কক্স হিল টাওয়ার আবাসিক হোটেল | Hotel booking in Bangladesh Sea Front Resort in cox’sbazar | Hotel booking গ্রাম বাংলা ট্রান্সপোর্ট বাস এর সকল কাউন্টার আপডেট নাম্বার | গ্রাম বাংলা ট্রান্সপোর্ট- চট্রগ্রাম ফেনী কুমিল্লা বরুড়া কক্সবাজার জেনে নিন চট্টগ্রাম সিটিতে কোন মার্কেট কোন দিন বন্ধ থাকে | চট্টগ্রামে সাপ্তাহিক মার্কেট বন্ধের সময়সূচী




ইসলামের স্বর্ণযুগের কাহিনী | হযরত উমার (রাঃ) | প্রকৃত মুসলমান কেমন ও মুসলিম বিশ্বের ইতিহাস

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০
হযরত উমার (রাঃ) | ইসলামের স্বর্ণযুগের কাহিনী | প্রকৃত মুসলমান কেমন ও মুসলিম বিশ্বের ইতিহাস
হযরত উমার (রাঃ) | ইসলামের স্বর্ণযুগের কাহিনী | প্রকৃত মুসলমান কেমন ও মুসলিম বিশ্বের ইতিহাস

হযরত উমার (রাঃ) | ইসলামের স্বর্ণযুগের কাহিনী | প্রকৃত মুসলমান কেমন ও মুসলিম বিশ্বের ইতিহাস

আসসালামুয়ালাইকুম

আজ আমি আপনাদের হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর একটি সহি গল্প বলবো, একদিন দুইজন লোক একটি বালককে ধরে, হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু  তা’আলা কাছে ধরে নিয়ে আসলেন, হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা জিজ্ঞেস করেছেন কেনো তোমরা এই বালকটা কে ধরে আমার কাছে নিয়ে এসেছো, তখন ওই লোক দুইজন বলেছিলেন,
এই বালক আমাদের পিতাকে হত্যা করেছে আমরা এর বিচার চাই।
হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা জিজ্ঞেস করেছেন এই বালক তুমি কি সত্যিই ওদের বাবাকে হত্যা করেছো, তখন বালকটি বলল হ্যাঁ আমি তাদের বাবাকে হত্যা করেছি তবে তা ছিল দূর্ঘটনাবশত। আমার একটা উট তাদের বাগানে ঢুকে গিয়েছিলো, আমার উট টা তাদের
বাবা একটা পাথর ছুড়ে মেরেছিল, ওই পাথর টা আমার উটের চোখে এসে লাগে, আমি আমার উটটি কে অনেক কষ্ট পেতে দেখি, আমার উটের কষ্ট দেখে আমি আর সহ্য করতে পারিনি,
আমিও একটা পাথর নিয়ে তার দিকে মারি, পাথরটি তাদের বাবার মাথায় আঘাত করে এবং উনি মারা যান।
তখন হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু দুই ভাইকে জিজ্ঞেস
করেছিলেন তোমরা কি বালকটি কে ক্ষমা করবে, তখন ওই দুই ভাই বলেছিলে না আমরা ওকে ক্ষমা করব না, আমরা ওর মৃত্যুদণ্ড চাই।
 তখন হযরত ওমর বালকটিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন
মৃত্যুর আগে তোমাকে কোন শেষ ইচ্ছা আছে, তখন বালক বলেছিল আমার বাবা মারা যাওয়ার সময় আমার ছোট ভাইয়ের জন্য কিছু সম্পদ রেখেযান, যা আমি এক জায়গায় লুকিয়ে রেখেছি আমি তিনদিন সময় চাই এই তিনদিনের মধ্যে আমি এই জিনিসগুলো আমার ভাইকে দিয়ে আসব। আমার কথা আপনি বিশ্বাস করেন,
তখন হযরত ওমর বললেনঃ আমি তোমাকে বিশ্বাস করতে পারি যদি তুমি একজন জামিন জোগাড় করতে পারো যে নিশ্চয়তা দেবে যে তুমি ফিরে আসবে,বালকটি দরবারের চারদিকে
তাকাল এত মানুষের মধ্যে কেউই তার জামিন হলো না সবাই নিচের দিকে তাকিয়ে রইল, হঠাৎ দরবারের পেছন থেকে একটি হাত উঠলো যিনি বলেছিলেন তিনি এই বালকটির জামিন হতে চান।
জানেন তিনি কে ছিলেন, তিনি ছিলেন আরেক বিখ্যাত সাহাবী আবুজর গিফারী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তারপর বালকটিকে ছেড়ে দেয়া হলো, এক দিন গেল,দুই দিন গেল, তিন দিন গেল,বালকটি ফিরে এলোনা।
তৃতীয় দিন দুইভাই আবুজর গিফারী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর কাছে গেলেন, তখন আবুজর গিফারী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেছেন আমি মাগরিব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাই।
মাগরিবের কিছুক্ষণ আগেই
আবুজার গিফারী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হযরত ওমরের দরবারের দিকে রইনা হলেন, মদিনার লোকজন ওনার পেছনে পেছনে যেতে লাগলেন, সবাই দেখতে ইচ্ছুক ছিলেন,কি ঘটবে আজ। একটি বালকের ভুলের কারণে আজ হযরত আবুজর গিফারী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কে জীবন দিতে হচ্ছে।
কিন্তু হঠাৎ মাগরিবের আজানের কিছুক্ষণ আগে বালকটি দৌড়ে এসে হযরত ওমরের দরবারে
হাজির হলেন, সবাই তখন অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা তখন বালকটিকে উদ্দেশ্য করে বললেন,হে বালক কেন তুমি ফিরে এসেছো, আমি তো তোমার পেছনে লোক পাঠানি।
কোন জিনিসটা তোমাকে মৃত্যুর জন্য আমার কাছে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে, বালকটি তখন বলেছিল হযরত ওমর আমি চাইনা আমার কর্মের জন্য কেউ বলুক, একজন মুসলিম কথা দিয়েছিল, কিন্তু সে তার কথা রাখেনি
তাই আমি আপনার কাছে ফেরত এসেছি।
তখন হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা, আবুজর গিফারী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কে জিজ্ঞেস করেছিলেন। হে আবুজর আপনি কেনো এই বালকের জামিন হয়েছিলেন,
তখন আবুজর গিফারী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা বলেছিলেন আমি দেখলাম একজন মুসলমানের সাহায্য প্রয়োজন, আমি চাইছিলাম না যে কেউ বলুক, একজন মুসলমানের সাহায্য প্রয়োজন ছিল কিন্তু কনো মুসলিম
ভাইকে সাহায্য করেনি।
তখন এই কথাগুলো শুনে অভিযোগকারী দুইভাই হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলাকে বলেন হযরত উমর আমরাও চাই না যে কেউ বলুক একজন মুসলমান ক্ষমা চেয়েছিল কিন্তু অন্য মুসলমান তাকে ক্ষমা করেনি, তখন দুইভাইও বালকটি কে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।
আমরা সবাই নিজেদের মুসলমান বলে দাবী করি আসলে আমাদের মধ্যে প্রকৃত মুসলমানের মধ্যে যেসব গুনাগুন থাকা প্রয়োজন তা আছে? আসুন না সবাই চেষ্টা করি যদি আমাদের মধ্যে কোন ভুল থাকে কোন ত্রুটি থাকে তা সংশোধন করে নিতে।
জীবনটা তো অনেক বেশি বড় নয়, জীবনটা তো চিরস্থায়ী নয় আর আমরা তো মানুষ আমরা চাইলে কি আমাদের পক্ষে অসম্ভব বলে কিছু আছে, আসুন সবাই সাবধানে থাকি নিরাপদে থাকে একে অন্যকেসাহায্য করি ভালো থাকবেন সবাই ।
লেখকঃ ব্লগার দেলোয়ার




সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো সংবাদ







© All rights reserved © 2020 Halishaharnews.com Abouet Privacy Policy Contact us
Design & Development By Hostitbd.Com