কিছু লোক নিজেকে অনেক দুর্বল মনে করেন, আর নিজেকে অনেক শক্তিশালী কনফিডেন্ট মনে করেন, আপনি একবার ভেবে দেখুন কোন এক জায়গায় এক্টিভিটিস হচ্ছে আর সেখানে দুজন আছে, যারা কোনো রকমের প্রাকটিস ছাড়াই এসেছে,আর প্রথম ছেলেটি এটা ভাবছে যে আমি তো কোন প্র্যাকটিস করে নি তাই হয়তো আমি জিত্তে পারবতে, আর দ্বিতীয় ছেলেটা এটা ভাবছে যে আমি প্র্যাকটিস করে নাই তো কি হয়েছে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে দৌড়াবো, আর এই রেস টিতে আমি অবশ্যই জিতবো।
দুইজনের দুশ্চিন্তার মধ্যে সামান্য পার্থক্য, আর সবশেষে রেস্টাতে সেই জিতেছে যে নিজেকে এটা বলেছিল যে সে অবশ্যই জিতবে, আপনি কি জানেন আমাদের জীবনটাও রেস্টা ঠিক এমনই হয়, আপনি অর্ধেক রেস ত শুরু হবার আগে জিতে যান।
রেজাল্ট তো কেবল এটা দেখায় যে আপনি জিতে গেছেন, কিন্তু আপনি যদি আপনার মনে নিজের জেতাটা ফিস্ট করে রাখেন,তার মানে আপনি জিতে গেছেন, এতে কোন কিছু যায় আসে না আপনি কার আগে সফল হয়েছেন, বা কার পরে, গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছেছেন।
পৃথিবীর সমস্ত সফল মানুষগুলো নিজেকে কিভাবে দেখে, সেই চোখে আজ আমি আপনাদের নিজেকে দেখা শেখাবো,
তাই পোস্টি লাস্ট পর্যন্ত অবশ্যই পড়বেন, সবার প্রথমে এটা গুরুত্বপূর্ণ নয় যে অন্যরা আপনাকে পছন্দ করে কিনা, বরণ গুরুত্বপূর্ণ হলো এটা যে আপনি নিজেকে কতটা পছন্দ করেন, যদি লোক আপনাকে পছন্দ নাও করে তাতে কিছু যায় আসে না, যদি আপনি নিজে নিজেকে পছন্দ করেন, পৃথিবীতে বেশিরভাগ লোক এটা ভেবে দুঃখী থাকে যে কেউ তাকে পছন্দ কেনো করে না, কথা কেন বলে না।
হালিশহর সংবাদ এ আরও পড়ুন:
কিন্তু আমার মনে হয় এটা আপনার জন্যই ভালো কারণ আপনাকে বিরক্ত করার মতো কেউ নেই, এটাই তো প্রয়োজন নিজের কাজে প্রকাশ করার জন্য তাই মন খারাপ না করে নিজেকে তেমন ভাবে দেখা শুরু করুন, যেমনটা আপনি ভাবেন যে অন্যজন আপনাকে দেখুক।
এরপর হলো সফল লোকের কাছে সব থেকে মূল্যবান জিনিস এদের সময়ে, এরা কখনোই সেখানে সময় নষ্ট করে না যেখানে নিজেকে প্রুফ্ করতে হয়, যেমন একটা ছেলে ছিল সে যেখানে থাকত সেখানে অনলাইনে কোন ডেলিভারি হতো না, সেখানে সবকিছুই বাজারে গিয়ে কিনতে হতো, আর এই ছেলেটির ইন্টারনেটের প্রতি অনেক ইন্টারেস্ট ছিল, আর এটাও ভাবতো তার অনেক ফ্রেন্ড হবে সবার সাথে ঘুরবে পার্টি করবে, কিন্তু এর ফ্রেন্ডরা একে নিয়ে মজা করতো কখনো তার গায়ের রং নিয়ে তো কখনও তার গাস্ট নিয়ে।
তাই সে একা হয়ে গেছিল আর এরপর সে ভাবে যখন জীবনে অন্য কিছু ভাবার মতো নেই তাহলে এই সময়টাকে সে কোন কাজে ব্যয় করবে, এরপর সে নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা শুরু করে, যেখান থেকে লোক নিজের প্রয়োজনের জিনিস কিনতে পারবে আর এই ভাবেই সে নিজের এলাকায় ডেলিভারি শুরু করে আর কিছুদিন পর সে একটি কোম্পানি তৈরি করে, আর দেখতে দেখতে ওই ছেলেটি শহরের সবথেকে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হয়ে যায়।
তাই যখন আপনি ভাববেন যে আমার কাছে কেউ নেই কিছুই নেই এটা আপনাকে কষ্ট দেবে, আর যদি আপনি এটা ভাবেন যে কেউ আমার কাছে নেই তাই আমি আমার রাস্তা নিজেই তৈরি করতে পারব এই চিন্তাটা আপনাকে পাওয়ার দেবে ।
এরপর হলো নিজেকে ভালো না বেসে নিজেকে ডেভলপ করতে চাওয়া এটা অনেকটা জলের উপরে ঘর তৈরি করার মত, যদি আপনি এটা চান যে আপনার আগের জীবনকে পরিবর্তন করতে তাহলে এটা ততক্ষণ পর্যন্ত হবে না যতক্ষণ না আপনি নিজেকে ভালোবাসবে, আর একাকীত্ব মনে হবার সব থেকে বড় কারণ হলো যে আপনি নিজের সঙ্গে খুশিতে নেই, একটা কথা মনে রাখবেন এটা কখনোই হবে না যে আপনি সারাটা জীবন একাই থাকবেন কারণ আমাদের রব এই পৃথিবীতে সবার জন্য কাউকে না কাউকে অবশ্যই তৈরি করেছে তাই আমাদের জীবনে কেউ না কেউ তো অবশ্যই আসবে যে আমাদের খেয়াল রাখবে ঠিক আমাদের মত করে।
কেবল প্রয়োজন হল যতদিন না সে আসছে ততদিন নিজের সঙ্গে থাকুন কারণ আমাদের জীবন আমাদের হাতেই থাকে তাই খুব বেশি চিন্তা না করে নিজের একটি লক্ষ্য তৈরি করুন আর সেটা পূর্ণ করার জন্য জীবন লাগিয়ে দিন, আপনার জীবনকে সামলানোর জন্য রব কাউকে-না-কাউকে ঠিক পাঠিয়ে দেবেন ঠিক সময় মতো।
তো বন্ধুরা আশা করি
আপনারা আমার কথাগুলো বুঝতে পেরেছেন সবশেষে একটি ছোট্ট অনুরোধ পোস্ট ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার করতে ভুলবেন না…ধন্যবাদ
ব্লগার দেলোয়ার
হালিশহর সংবাদ এ আরও পড়ুন:
Leave a Reply