আসসালামু আলাইকুম রাহমাতুল্লাহ সুপ্রিয় হালিশহর নিউজের পাঠক মন্ডলী আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের
অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা সকলে ভালো আছেন।
কথায় আছে ভালো মানুষ এই পৃথিবীতে সবচেয়ে কষ্টের শিকার হয় এবং ভালো মানুষ আঘাত পাবার পর পরিস্থিতির শিকার
হয়ে ব্যবহার খারাপ করতে থাকে, তাই আঘাত পাওয়ার পরে আপনি কি করবেন বা কি করনীয় তা নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব,
তাই পোস্ট শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল এমন বিষয়ে আলোচনা হতে যাচ্ছে যা আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আত্মার প্রশান্তি তো চূড়ান্ত প্রশান্তি, সুতরাং পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
নম্বর এক……….
নিজের কাছে স্বচ্ছ থাকুন, কেউ খারাপ হলে তুমিও খারাপ করো এত ভাল হয়ে কি করবে জীবনে, এমন পরামর্শ
অনেক শুনেছেন নিশ্চয়ই। কেউ আপনার সাথে খারাপ করেছে বলে আপনাকেও খারাপ হয়ে যেতে হবে। আমাদের
দেশে তো এমন প্রবাদে আছে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে হবে। যা একেবারে বিভ্রান্তিকর অসত্য একটি প্রবাদ বা নীতিকথা,
জীবনটা মোটেও এমন কিছু নই, আসলে বিষয় টি হচ্ছে নিজের কাছে সৎ থাকা, নিজে যা করবেন বিবেক কে সামনে রেখে করবেন।
এমন কিছু করবেন না যার জন্য নিজেকে নিজের কাছে ছোট মনে হবে,খুব কাছের কারো জন্য হলেও খারাপ কিছু করবেন না,
নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কারো জন্য কিছু করবেন না, দেখবেন জীবনের ঝামেলা কষ্ট একেবারে কমে গেছে ।
নম্বর দুই…………..
তো যাচাই করতে শিখে নিন।
হ্যাঁ আপনি হয়তো কাউকে মিথ্যা বলেন না, একথা ভুলে গেলে চলবে না, পৃথিবীর মানুষ মিথ্যা কথা বলে, নিজের
স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে এবং অন্যকে ঠকায় এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। মানুষকে বিশ্বাস করা খুব ভালো
গুণ,আবার কাউকে বিশ্বাস করার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিবেন, আল্লাহ আপনাকে বিবেক দিয়েছে কেন বলেন তো? আপনাকে তো যাচাই করার জন্যই বিশেষ গুনে গুনান্বিত করা হয়েছে, আর অন্য কোন প্রাণীকে তো বিবেক দেওয়া হয়নি, পৃথিবীতে বিবেকবান একমাত্র মানুষ যা নিজের ভালো ও খারাপ বুঝতে পারে তাই বিশ্বাস করার আগে যাচাই করুন, বিবেককে কাজে লাগান তাতে অন্তত খানিকটা হলেও নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন|
নম্বর তিন………….
কারো জন্য নিজের সৎটাকে ত্যাগ করবেন না।
আপনি ভালো মানুষ কিন্তু কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে কিছু করবেন না, সেটাই করুন যা আপনার মন চায়, যেটা আপনার ব্যক্তিত্ব সাথে মানানসই, কারো জন্য খারাপ লাগছে বা কারো
জন্য করুনা হচ্ছে বা কাছের কোন মানুষের জন্য একাকীত্ব অনুভব হলে, নিজেকে ত্যাগ করবেন না, মনে রাখবেন আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। কেউ যদি আপনার মর্ম না বুঝে আপনাকে মূল্যায়ন না করে, আপনার সাথে বন্ধুত্ব নষ্ট করে এবং সে সুখে থাকতে পারে তাহলে আপনি কেন তার জন্য কষ্ট পাবেন। একটা কথা মাথায় রাখবে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। হতে পারে আল্লাহ তাআলা আরো ভাল কাউকে আপনার জন্য রেখেন। হইক না সেই বন্ধু , হইক না সেই জীবন সঙ্গী, ব্যবসায়ীক পার্টনার সে যাই হোক না কেন আল্লাহ পাকের প্লেনের ওপরে আস্থা রাখুন। তাহলে কোন মানুষের জন্য একাকীত্ব অনুভব হলে নিজেকে ত্যাগ করবেন না।
নম্বর চার……………
দুর্বলতাকে করে তুলুন হাতিয়ার
আপনি একজন দয়ালু মানুষ সত্যবাদী মানুষ,আবেগি মানুষ। আর এটা কি আপনার দুর্বলতা এই দুর্বলতাকে পুঁজি করে সবাইকে আপনাকে আঘাত করে, এই দুর্বলতাকে পরিণত করেন নিন শক্তিতে, মিথ্যা কে মোকাবেলা করুন সত্যি দিয়ে, আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনের বলেছে তোমরা মন্দকে ভালো দ্বারা প্রতিহত করো।নিজেকে কখনো ছোট মনে করবেন না। মনে রাখুন এখনকার পৃথিবীতে নরম মনে মানুষ পাওয়া বিশাল বেপার, আর এইটাই আপনার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
নম্বর পাঁচ……………
ইগনোর করতে শিখুন।
বুঝতে পারছেন না কখন কার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে ফেলা উচিত, কেউ যদি আপনার সাথে অন্যায় করে তাহলে বিষয়টি ছোটখাট জিনিস বলে ক্ষমা করে দিন। মানুষ মাত্রই ভুল, যত বেশি ক্ষমা করবেন আপনার মন তত বেশি উদার হবে, আপনি অন্তত প্রশান্তিতে থাকতে পারবেন, আপনার আত্মা শান্তি পাবে, অনেক সময় পরিস্থিতির শিকার হয়ে, ভুল হয়ে যেতেই পারে, ভুল ব্রান্তি করা লোটিকে যদি ঘিনা করতে থাকেন, তার একটা ভুলের কারণে, তার যে আর নয়টি ভালো গুন আছে তা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করলেন। অথচ তার একটি ভুল ক্ষমা করে দিয়ে, তার নয়টি ভালো গুনের সুবিধা ভোগ করতে পারতেন, তাই সম্পর্ক বিচ্ছিন করবেন না। ক্ষমা করে দিন, যদি বার বার একই মানুষ দ্বারায় আপনি আঘাত পেতে থাকেন তাহলে ক্ষমা চাইলে, ক্ষমা করে দিবেন ঠিক আছে,যদি মনে হয় যে লোকটি বাড়াবাড়ি রকমের খারাপ সে প্রতিনিয়ত আপনার সাথে অন্যায় করে চলেছে একের পর এক, তাহলে তার থেকে নিজেকে সরিয়ে নিন, ক্ষমা চাওয়া পরেও যদি আবারো আপনাকে আঘাত দিতেই
থাকে তাহলে, সম্পর্কটা না বেঙ্গে, খারাপ না করে বরং নিজ থেকে সরে পড়ুন, মন থেকে তাকে ক্ষমা করে দিন এবং তার জন্য হেদায়েতের দোয়া করবেন,অন্তরে কন আঘাত নিবেঙ না, আপনি তার জন্য কেন কষ্ট পাবেন বলুন তো, ইগনোর করতে শিখুন। আসা করি বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ হাফেজ
লিখকঃ ব্লগার দেলোয়ার
Leave a Reply