ঘটনাটি ঘটে আজ থেকে দুই বছর আগে। ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ পঞ্চম সেমিস্টারে পড়তেন। বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ আজ রোববার এই রায়টি পড়ে শুনান। ট্রাইব্যুনালে আসামিদের হাজির করা হয় রায় ঘোষণার আগে।
দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে ২১ জুলাই ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওয়ানা হওয়ার পর নিখোঁজ হন পায়েল। গত বছরের ২ এপ্রিল এই হত্যা মামলার তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে। ১৪ জন সাক্ষীকে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে হাজির করা হয়।
হালিশহরের বাসা থেকে রাত দশটার দিকে পায়েল বের হন বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম এর একে খান এলাকার হানিফ বাস কাউন্টার থেকে টিকেট কিনে এক ঘণ্টা পর তিনি ঢাকার উদ্দেশে গাড়ীতে উঠেন। তার টিকিট নম্বর এ-৩ ছিল। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এর মদনপুর ক্যাসেল হোটেলের সামনে ভোররাত সাড়ে চারটায় বাসটি যানজটে পড়ে।
বাসের চালক সাইদুরকে না উঠিয়েই যানজট থেমে যাওয়ার পর পরই দ্রুত গাড়ি চালিয়ে চলে যান । সাথে থাকা তার সহপাঠী ওই সময় বাসেই ঘুমিয়ে ছিলেন। বাপের চর সেতুর নিচে ফুলদী নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায় ।
তার বাবা এবং তার একমাত্র ভাই কাতার প্রবাসী বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারকৃত বাসের সুপারভাইজার জনি, চালক জামাল ও সহকারী ফয়সালকে অভিযুক্ত করে চলতি বছরের ৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় এই মামলার পুলিশ।
Leave a Reply