আল্লাহর ৯৯ নাম বাংলা অর্থ ও ফজিলত সমূহ
ইয়া রাহমানু (হে পরম করুণাময়!)
(১) প্রত্যেক নামাযের পর এই পবিত্র নামটি ১০০ বার পাঠ করলে অন্যায় কাজ হতে দূরে থাকা যায় এবং মনের গ্লানি ও ভ্রম দূর হয়।
(২) প্রত্যহ ১০০ বার পাঠ করলে মানুষ তার প্রতি সহানুভূতিশীল ও দয়ালু হয়।
(৩) মেশক জাফরানে এই নাম লেখে মন্দ লােকের বাড়ীতে পুঁতে রাখলে তার মন্দ স্বভাব দূর হয়।
ইয়া রাহীমু (হে দয়ালু!)
(১) এই পবিত্র নামটি সর্বদা যিকির করলে যাবতীয় বিপদাপদ দূর হয়।
(২) ইচ্ছা বিরুদ্ধ কোন ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে আররাহমানুর রাহীম নাম সর্বদা পড়তে থাকবে।
(৩) প্রত্যহ ‘ইয়া রাহীমু’ ১০০০ বার যিকির করলে মন দয়ালু হয়।
(৪) এই পবিত্র নামটি বাসনের উপর লেখে পানি দ্বারা ধৌত করে গাছের গােড়ায় ফেললে সেই গাছে আল্লাহর ফজলে অধিক ফল ধরবে।
(৫) প্রেমিক-প্রেমিকা এই নাম লেখে তার নিচে উভয়ের মাতার নাম লেখে পানিতে ধৌত করে পান করলে তাদের প্রেম দৃঢ় হবে। অবৈধ প্রেমে এই আমল নিষিদ্ধ।
ইয়া মালিকু (হে প্রভু!)
পবিত্র নাম সূর্যাস্তের সময় ৩০৩ বার পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা পাঠকের প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য গােনাহ মাফ করে দিবেন। যে ব্যক্তি প্রত্যহ এই নামটি রুটির উপর লেখে খাবে, আল্লাহ্ তাআলা তাকে ফেরেশতা চরিত্র করবেন। একশত আশি বার পড়লে অন্তরের ময়লা দূর হয়ে উজ্জ্বল হইবে ।
ইয়া কুদ্দুসু (হে পবিত্রতম!)
এই পবিত্র নাম ১২৫ বার পাঠ করে একটি রুটির উপর লেখে তা যাকে খাওয়ানাে হবে, তার মন আল্লাহর এবাদতে আকৃষ্ট হবে, কুঅভ্যাস দূর হবে এবং বিপদাপদ হতে মুক্ত থাকবে।
ইয়া সালামু (হে শান্তিদাতা!)
১। কোন রুগ্ন ব্যক্তি প্রত্যহ ১০০ বার করে এই পবিত্র নাম পাঠ করলে, আরােগ্য লাভ করবে।
২। কোন রুগ্ন ব্যক্তির মাথার নিকট বসে দুই হাত উঠিয়ে উচ্চঃস্বরে বিরতীহীনভাবে ১৩৬ বার এই পবিত্র নাম কয়েক দিন পাঠ করলে আল্লাহ।তাআলা তাকে রােগমুক্ত করে দেবেন।
ইয়া মু’মিনু। (হে বিশ্বাসী!)
নাম প্রত্যহ নিয়মিতভাবে কয়েক বার পাঠ করলে শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে রক্ষা পাওয়া যাবে। এই পবিত্র
ইয়া মুহাইমিনু। (হে রক্ষক!)
১। গােসল করার পর নির্জনে দুই রাকআত নামায পড়ে এই পবিত্র নাম ১০০ বার পাঠ করলে সাহস বৃদ্ধি পাবে।
২। এই পবিত্র নাম প্রত্যহ রীতিমত পাঠ করলে মনােবল বৃদ্ধি পায় এবং মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হয়।
ইয়া ‘আযীযু (হে পরাক্রমশালী!)
যে ব্যক্তি এই পবিত্র নাম প্রত্যহ ৩১ বার করে ৪০ দিন পর্যন্ত পাঠ করে, সে কারও মুখাপেক্ষী হবে না, তার সম্মান বাড়বে ও চিন্তামুখ থাকবে।
ইয়া জাববারু (হে পরম শক্তিশালী!)
এই পবিত্র নাম যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যায় ১২৬ বার পাঠ করবে সে অত্যাচারীর অত্যাচার হতে নিরাপদ থাকবে ।
ইয়া মুতাকাব্বিরু (হে গৌরবান্বিত!)
এই পবিত্র নাম ১০০ বার পাঠ করে স্ত্রী-সঙ্গম করলে চরিত্রবান ও ভাগ্যবান সন্তান জন্মাবে।
ইয়া খালেকু (হে সৃষ্টিকর্তা!)
এই পবিত্র নাম সাত দিন একাধারে যিকির করলে সকল বিপদাপদ হতে নিরাপদ থাকবে। মধ্যরাতে অনেক বার পড়লে আল্লাহ ফেরেশ্তাগণকে এবাদ করার আদেশ দেন, এবং কেয়ামত পর্যন্ত ফেরেশতাগণের এবাদত তার আমলনামায় লেখা হতে থাকে।
ইয়া বারিয়্যু (হে স্রষ্টা!)
এই পবিত্র নাম প্রত্যহ ৭ বার পাঠ করলে গােনাহ মাফ হবে এবং কবরের আযাব হতে মুক্তি পাবে ।
ইয়া মুছাওবিরু (হে মহাশিল্পী!)
যে স্ত্রীলােকের সন্তান হয় না বা গর্ভ নষ্ট হয়ে যায়, সেই স্ত্রীলােক ৭ দিন রােযা রেখে প্রত্যহ ইফতারের সময় এই পবিত্র নাম ২১ বার পাঠ করে পানিতে ফুক দিয়ে সেই পানি দ্বারা ইফতার করলে এবং ইফতারের পরে আবার ২১ বার পাঠ করলে আল্লাহ রহমতে গর্ভ সঞ্চার হবে এবং রক্ষা পাবে।
ইয়া গাফফারু (হে পরম ক্ষমাশীল!)
এই পবিত্র নাম জুমআর নামাযের পর ১০০ বার পাঠ করলে গােনাহ মাফ এবং যাবতীয় অভাব দূর হবে।
ইয়া কাহহারু (হে শাস্তিদাতা!)
(১) এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করলে শত্রুর উপর প্রভাব বিস্তার করা যায় এবং শত্রুতা লােপ পায়। অধিক পাঠ করলে পৃথিবীর প্রতি মনের আকর্ষণ কমে যায়।
(২) ধ্বজভঙ্গ রােগ হলে এই পবিত্র নাম চীনা মাটির বাসনে লেখে ধৌত করিয়া পান করালে রােগ দূর হবে।
ইয়া ওয়াহহাবু (হে পরম দাতা!)
(১) চাশত নামায পড়ার পর এই পবিত্র নাম ১০০ বার সেজদায় গিয়ে পাঠ করলে ধনবান ও প্রতাপশালী হবে।
(২) মধ্যরাতে নির্জনে ঘরে বা মসজিদে বসে মাথায় হাত উঠিয়ে ১০০ বার পাঠ করলে মনের আশা পূর্ণ হবে।
ইয়া রাযযাকু (হে অন্নদাতা!)
এই পবিত্র নাম প্রত্যহ ফজরের নামাযের পূর্বে ঘরের প্রত্যেক কোণে ১০ বার করে পাঠ করলে অভাব-অনটন দূর হবে এবং রেযেক বৃদ্ধি পাবে।
ইয়া ফাত্তাহু (হে প্রস্তকারী!)
আল্লাহ তাআলার এই পবিত্র নাম ফজরের নামাযের পর দুই হাত বুকের উপর রেখে ৭১ বার পাঠ করলে অভাব দূর হবে, মনােবল বৃদ্ধি পাবে এবং সকল কাজ সহজ হবে।
ইয়া আ’লীমু (হে মহাজ্ঞানী!)
আল্লাহ তাআলার এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করলে জ্ঞান বৃদ্ধি পায়, গােনাহ সাফ হয় এবং অসংখ্য সওয়াব হয়।
ইয়া কাবিদু (হে আয়ত্তাকরী!)
এ পবিত্র নাম পাঠ করলে সব কাজ সহজ হবে। ৪০দিন পর্যন্ত প্রত্যহ রুটির উপর লেখে খেলে রুজি-রােজগার বৃদ্ধি পাবে এবং জীবনে কখনও ক্ষুধায় কষ্ট পাবে না।
ইয়া বাসিতু (হে প্রসারকারী!)
এই পবিত্র নাম প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর হাত উঠিয়ে মােনাজাতের মত ১০ বার পাঠ করে মুখের উপর হাত ফিরিয়ে আনলে আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহে রুজি বৃদ্ধি পাবে এবং অভাব দূর হবে।
ইয়া খাফিদু (হে রােধকারী!)
আল্লাহ তাআলার এই পবিত্র নাম ৫০০ বার পাঠ করলে আশা পূর্ণ হবে এবং ৭০০ বার পড়লে শক্রর অনিষ্ট হতে রক্ষা পাবে।
ইয়া রাফিউ (হে উন্নতকারী!)
এই পবিত্র নাম রাতে ঘুমাবার সময় ৭০০ বার পাঠ করলে সম্মান বৃদ্ধি পাবে। বিপদাপদ এবং অত্যাচারীর অত্যাচার হতে রক্ষা পাবে।
ইয়া মুয়িযযু (হে সম্মানদাতা!)
এই পবিত্র নাম প্রত্যেক শুক্রবার ও সােমবার মাগরিবের নামাযের পর ৪১ বার পাঠ করলে সকরের নিকট সম্মান পাওয়া যাবে এবং পরিবারবর্গের প্রিয়পাত্র হবে।
ইয়া মুযিল্লু (হে হীনকারী!)
এই পবিত্র নাম প্রত্যহ ফজরের নামাযের পর সেজদায় গিয়ে ৭৫ বার পাঠ করলে শত্রুর শত্রুতা দূর হবে, শত্রু তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কেউ কারও কোন হক আত্মসাৎ করার চেষ্টা করলে সর্বদা এই নাম পড়লে হক নষ্ট করতে পারবে না।
ইয়া সামীউ (হে শ্রবণকারী!)
বৃহস্পতিবার চাশত নামায পড়ে কারও সাথে কথাবার্তা না বলে এই পবিত্র নাম ৫০০ বার পাঠ করে দোয়া মােনাজাত করলে কবুল হয় ।
ইয়া বাছীরু (হে দর্শনকারী!)
এই পবিত্র নাম জুমআর নামাযের প্রথম সুন্নত নামায পড়ার পর ফরয নামাযের পূর্বে ১০০ বার পাঠ করলে দৃষ্টিশক্তি এবং সাহস বৃদ্ধি পায় ।
ইয়া হাকামু (হে আদেশকারী:)
আল্লাহ তাআলার এই পবিত্র নাম রাতে বার বার পাঠ করলে মানসিক পবিত্রতা আসবে ও সর্বদা পাঠ করলে কঠিন কাজ সহজ হবে। ১০০ বার পড়ে পানিতে ফুক দিয়ে ক্ষেতে ছিটিয়ে দিলে অধিক ফসল ফলবে এবং বিপদাপদ হতে রক্ষা পাবে।
ইয়া আদলু (হে ন্যায়বিচারক!)
এই পবিত্র নাম শুক্রবার রাতে ২০ টুকরা রুটির উপর লেখে খেলে মনে পবিত্রতার ভাব সৃষ্টি হবে, ন্যায়ের প্রতি মন আকৃষ্ট হবে এবং লােকজন তার বাধ্য হবে।
ইয়া লাতীফু (হে করুনাময়!)
এই পবিত্র নাম প্রত্রহ ৩১ বার পড়লে রােগ হতে মুক্ত হবে এবং আয় উন্নতি বৃদ্ধি পাবে। অযু করে ১০০ বার পড়লে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। কোন অবিবাহিতা মেয়ে পাঠ করতে থাকলে তাড়াতাড়ি বিবাহ হয়।
ইয়া খাবীরু (হে সর্বজ্ঞ!)
এই নাম সর্বদা পাঠ করলে খারাপ চিন্তা ও খারাপ বাব দূর হবে। শত্রুর শত্রুতা, হিংস্র জন্তুর আক্রমণ হতে রক্ষা পাওয়া যাবে। সাত দিন পর্যন্ত অনবরত
পাঠ করলে বহু গুপ্ত বিষয় জানতে পারবে।
ইয়া আযীমু। (হে মহান!)
এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করে আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রার্থনা করলে মান-সম্মান বাড়বে এবং রােগ হতে মুক্তি পাবে।
ইয়া হালীমু (হে ধৈর্যশীল!)
এই পবিত্র নাম কাগজে লেখে পানি দ্বারা ধৌত করে শস্য ক্ষেতে ছিটিয়ে দিলে ফসল ভাল হবে এবং পােকামাকড় হতে রক্ষা পাবে । সেই পানি ব্যবসায়ের দ্রব্যের উপর ছিটিয়ে দিলে ব্যবসায়ের উন্নতি হবে। মাতব্বর বা জননেতা সর্বদা এই নাম পড়লে মাতব্বরী নেতৃত্ব ধীর্ঘস্থায়ী হবে।
ইয়া গাফুরু (হে ক্ষমাশীল!)
এই পবিত্র নাম পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা গােনাহ মাফ করবেন। ৩ বার লেখে তাবিজ করে জ্বরের রােগীর গলায় বেঁধে দিলে জ্বর আরােগ্য হবে এবং ৩ বার লেখে ধৌত করে পানি পান করালে অন্যান্য রােগও আল্লাহর ফজলে ভার হবে।
ইয়া শাকুরু (হে কৃতজআপ্রিয়!)
এই পবিত্র নাম প্রত্যহ ৪১ বার পড়ে পানিতে ফুক দিয়ে বুকে ও ঘাড়ে মালিশ করলে শরীরের ব্যথা দূর হবে, স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে এবং দৃষ্টিশক্তিও বৃদ্ধি
পাবে।
ইয়া আলিয়্যু (হে শ্রেষ্ঠ, উন্নত!)
এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করলে বা লেখে সঙ্গে রাখলে দারিদ্র্য দূর এবং শরীর সবল হবে। লেখে শিশুদের গলায় বেঁধে রাখলে সবল ও বলিষ্ঠ হবে ।
ইয়া কাবীরু (হে শ্রেষ্ঠ!)
এই পবিত্র নাম পাঠ করে খাদ্যদ্রব্যের উপর দম করে স্বামী-স্ত্রীকে খাওয়ালে তাদের মধ্যে গভীর ভালবাসা জন্মাবে। সর্বদা যিকির করলে শান্তিতে থাকবে এবং বিপদাপদ দূর হবে ।
ইয়া হাফীযু (হে রক্ষক!)
এই পবিত্র নাম সর্বদা পড়লে বিপদাপদ হতে বেঁচে থাকবে। লেখে, সঙ্গে রাখলে পানিতে ডুবে মরবে না, আগুন হতে রক্ষা পাবে। বাঘ, ভালুক, জ্বিন ও
ভূত-প্রেতের অনিষ্ট হতে রক্ষা পাবে। শিশুদের গলায় বেঁধে দিলে নিরাপদে থাকবে।
ইয়া মুক্বীতু (হে রেযেকদাতা!)
এই পবিত্র নাম সর্বদা যিকির করলে শরীরের বল, মনের সাহস ও রিযিক বৃদ্ধি পাবে।
ইয়া জালীলু (হে মহান!)
এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করলে বা লেখে সঙ্গে রাখলে আল্লাহর অনুগ্রহে মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে ও শান্তিতে থাকবে। মেশক জাফরান দ্বারা লেখে ধৌত করে পান করলে আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ লাভ করবে। বংশের মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে।
ইয়া কারীমু (হে অনুগ্রহকারী!)
এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করলে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ হয়। প্রত্যহ রাতে শয়নকালে পড়তে পড়তে নিদ্রা গেলে সকলের প্রিয়পাত্র হবে।
ইয়া রাকীবু (হে রক্ষক!)
প্রবাসে যাত্রাকালে ছেলেমেয়েদের দেহে হাত রেখে এই পবিত্র নাম ৭ বার পাঠ করলে নিরাপদ থাকবে।
স্ত্রীলােকের গর্ভপাত হবার ভয় থাকলে এই নাম ৭
বার পড়লে গর্ভপাত নিবারণ হবে।
অনেক বার পড়লে হারান বস্তু পাওয়া যায় ।
ঘর-বাড়ী, ধন-ঐশ্বর্য ও পুত্র-কন্যার চার দিকে পাঠ করলে আল্লাহর ফজলে নিরাপদে থাকবে ।
ইয়া মুজীবু (হে প্রার্থনা কবুলকারী!)
এই পবিত্র নাম বার বার পড়ে আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রার্থনা করলে কবুল । হবে। কোন উদ্দেশ্যে দুই রাকআত নামায এবং এক হাজার বার এটি পড়লে শীঘ্রই সেই উদ্দেশ্য সফল হবে ।
ইয়া ওয়াসিউ (হে প্রশস্তকারী:)
এই পবিত্র নাম প্রত্যহ পাঠ করলে চিন্তা দূর হবে ও রােজগার বৃদ্ধি পাবে। সর্বদা পাঠ করলে আল্লাহ ধৈর্যশক্তি দান করবেন। বহু বার পড়লে সাহস বৃদ্ধি পাবে।
ইয়া হাকীমু (হে মহাজ্ঞানী!)
এই পবিত্র নাম নিয়মিত পাঠ করলে জ্ঞান বৃদ্ধি পায় এবং মধ্যরাতে পাঠ করলে মেধাশক্তি বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকগণ সর্বদা পাঠ করলে তাদের হাত-যশ বৃদ্ধি পাবে।
ইয়া ওয়াদুদু (হে শ্রেষ্ঠ বন্ধু!)
এই পবিত্র নাম ১০০১ বার পাঠ করে খাদ্যদ্রব্যে ফুকি দিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে খাওয়ালে উভয়ের মধ্যে গভীর ভালবাসা জন্মাবে এবং একে অন্যের বাধ্য থাকবে।
ইয়া মাজীদু (হে সম্মানিত!)
প্রত্যেক চাদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রােযা রেখে ইফতারের সময় ১০০০ বার এই পবিত্র নাম পড়লে আল্লাহর ফজলে ধবল কুষ্ঠ রােগী আরােগ্য লাভ
করবে ।
ফজরে নামায পড়ে এই নাম ১০০ বার পাঠ করে শরীরের ফুক দিলে আত্মীয়- -স্বজন দেশবাসীর খুব প্রিয় হবে।
ইয়া বায়িসু (হে পুনরুত্থানকারী!)
ঘুমাবার সময় বুকের উপর হাত রেখে এই পবিত্র নাম ১০০০ বার পাঠ করলে বিদ্যা-বুদ্ধি ও জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে এবং অন্তরে আল্লাহর জ্যোতি আবির্ভূত হবে।
ইয়া শাহীদু (হে মহাসাক্ষী!)
এই পবিত্র নাম ১০০০ বার পড়ে অবাধ্য স্ত্রী পুত্রাদির উপর ৪০ দিন ফুঁক দিলে তারা বাধ্য হবে।
ইয়া হাক্কু (হে সত্য!)
কারও কোন বস্তু হারিয়ে গেলে এই পবিত্র নাম কাগজের চার দিকে লেখে এবং মাঝখানে উক্ত ব্যক্তির নাম লেখে রাত্রি দ্বি-প্রহরে আকাশের দিকে তাকিয়ে উক্ত নাম একশত বার পড়বে ইনশাআল্লাহ পর দিন সকালেই অপহৃত বস্তু উদ্দার হবে অথবা খবর পাবে। এভাবে পলাতক চাকর-চাকরানীও ফিরে আসবে অথবা সংবাদ পাওয়া যাবে।
ইয়া ওয়াকীলু (হে কর্মকর্তা!)
এই পবিত্র নাম পাঠ করতে থাকলে ঝড়, তুফান, শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাত হতে রক্ষা পাবে। অত্যাচারী হতে রেহাই পাবার জন্য এই নাম প্রত্যহ ছাব্বিশ বার পড়লে ইনশাআল্লাহ অত্যাচারী বরবাদ হয়ে যাবে ।
ইয়া ক্বাবিয়্যু (হে শক্তিমান!)
এই পবিত্র নাম পাঠ করতে থাকলে দেহ ও মনের বল বৃদ্ধি পায়। যার শত্রু ভয় বেশি সে গমের আটা দ্বারা এক হাজার গুলি বানিয়ে প্রত্যেক গুলির উপর এই পবিত্র নাম পাঠ করে পক্ষীকূলকে খাওয়ালে এবং ঐ সময় নিজের মনে শত্রু দমনে জোর দিলে, ইনশাআল্লাহ শীঘ্রই শত্রু পরাভূত হবে।
ইয়া মাতীনু (হে অটল, দৃঢ়!)
এই পবিত্র নাম কাগজে লেখে পানি দ্বারা ধৌত করে পান করলে স্ত্রীলােকের দুধ বৃদ্ধি পাবে। শিশু দুধ পান করতে না চাইলে ঐ পানি দ্বারা স্তন ধৌত করতে হবে। খারাপ লােক এই নাম অধিক পরিমাণে পড়লে তার অন্তরের অসদ্ভাব দূর হবে।
ইয়া ওয়ালিয়্যু (হে বন্ধু, সহায়ক!)
এই পবিত্র নাম পাঠ করলে সকলের প্রিয়পাত্র হবে।
কঠিন বিপদের সময় শুক্রবার রাতে ১০০০ বার পাঠ করলে বিপদ দূর হবে।
পুরুষ বা স্ত্রী চরিত্রহীনা হলে দাম্পত্য মিলনের কালে এই পবিত্র নাম পাঠ করে পরস্পর সঙ্গম করবে।
আল্লাহর ইচ্ছায় সংশ্লিষ্ট পুরুষ বা স্ত্রীলােক অসৎ স্বভাব ত্যাগ করে সচ্চরিত্র হবে।
পুরুষের দোষ হলে স্ত্রীলােক এবং স্ত্রীলােক দুষ্টা হলে পুরুষ উক্ত নাম পাঠ করবে ।
ইয়া হামীদু (হে প্রশংসার যােগ্য!)
এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করলে মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে। যার মুখ ভাল নয় সর্বদাই গালাগালি করে, এই পবিত্র নাম ৫০ বার বাসনে লেখে তাকে পান
করাবে, আল্লাহর ফজলে সে কখনও কুবাক্য উচ্চারণ করবে না ।
ইয়া মুহসিয়ু (হে সর্বজ্ঞা!)
আল্লাহ তায়ালার এবাদতে দুর্বলতা ও অলসতা দেখা দিলে শােয়ার সময় বুকের উপর হাত রেখে ৭ বার এই পবিত্র নাম পাঠ করলে আল্লাহর ফজলে
দুর্বলতা অলসতা দূর হবে এবং আনন্দের সাথে এবাদত-বন্দেগী করতে পারবে ।
জুমআর রাতে ১০০০ বার পাঠ করলে পরকালের শাস্তি হতে রক্ষা পাবে, হিসাব-নিকাশ সহজ হবে।
এই পবিত্র নাম ২০ বার পড়ে ২০টি রুটির টুকরার
উপর ফুক দিয়ে খেলে মানুষ তার বশীভূত হবে।
ইয়া মুবদিউ (হে প্রথম স্রষ্টা!)
আল্লাহ তাআলার এই পবিত্র নাম গর্ভবর্তী স্ত্রীর স্বামী শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ১৯ বার স্ত্রীর পেটের উপর লেখে দিলে গর্ভ নষ্ট হবার আশঙ্কা থাকবে না এবং ঠিক সময়ে সন্তান প্রসব হবে।
ইয়া মুয়ীদু (হে প্রত্যাবর্তক!)
কোন বিষয় ভুলে গেলে এই পবিত্র নাম যিকির করতে থাকলে স্মরণ হবে।
কোন পলাতক বা নিখোঁজ ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনার জন্য এই পবিত্র নাম ৭০ দিন প্রত্যহ শােয়ার সময় ঘরের প্রত্যেক কোণে ৭০ বার পাঠ করে বলবে-অমুকের ছেলে অমুককে ফিরিয়ে দাও। আল্লাহর ফজলে উক্ত ব্যক্তি ৭০ দিনের মধ্যেই
ফিরে আসবে।
ইয়া মুহইউ (হে প্রাণ দাতা!)
এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করলে আল্লাহ নিরাপদে রাখবেন । জেলে বা দূর দেশে পাঠানাের ভয় থাকিলে আল্লাহ্ তায়ালা মুক্ত রাখবেন ।
অন্তরের মধ্যে আযাবের ভয় থাকলে ৭ দিন পর্যন্ত পড়ে শরীরের ফুক দিবে, অন্তর নিজে বশে আসবে এবং আল্লাহর পথে চালিত হবে ।
ইয়া মুমীতু (হে মৃত্যুদাতা!)
অন্তরে পরকালের ভয় উপস্থিত হয়ে হতাশা সৃষ্টি করলে ৭ দিন পর্যন্ত ঘুমাবার সময় সিনার উপর হাত রেখে ৭ বার এই নাম পাঠ করলে ভয় দূর হবে।
শয়তান তাকে দেখে ভয় পাবে।
এই পবিত্র নাম প্রত্যহ পাঠ করলে ধর্মের প্রতি
মন আকৃষ্ট থাকে এবং অপব্যয় হতে বেঁচে থাকবে ।
ইয়া হাইয়্যু (হে চিরঞ্জীব!)
এই পবিত্র নাম পাঠ করে রােগীর উপর ফুঁক দিলে অথবা পানির উপর ফুঁক দিয়ে রােগীকে পান করালে রােগমুক্ত হবে। নিয়মিত পড়তে থাকলে সকল প্রকার রােগ মুক্ত থাকবে।
ইয়া কাইয়্যূমু (হে চিরস্থায়ী!)
প্রত্যহ সূর্যোদয়ের পূর্বে এই পবিত্র নাম পাঠ করলে অতি ন্দ্রিা দূর হবে। প্রত্যহ সকালে উচ্চৈঃস্বরে পড়লে শ্রোতাদের প্রিয়পাত্র হওয়া যায় এবং এর
বরকতে দীর্ঘায়ু লাভ হয়।
ইয়া ওয়াজিদু (হে অস্তিত্ব বিধায়ক!)
আল্লাহ তায়ালার এই পবিত্র নাম পড়লে শারীরিক মানসিক বল এবং খাবার সময় পড়ে খেলে অন্তরের বল বৃদ্ধি পায়।
ইয়া ওয়াহিদু (হে অদ্বিতীয়!)
একাকী পথ চলার সময় এই পবিত্র নাম পাঠ করলে ভয় কমে যাবে। প্রত্যহ ১০০০ বার পাঠ করলে জগতের প্রতি আকর্ষণ কমে দ্বীনের প্রতি মন আকৃষ্ট হবে।
ইয়া আহাদু (হে একক, একমাত্র!)
এই পবিত্র নাম গােপনে এক হাজার বার পড়লে দৈহিক মানসিক বল বৃদ্ধি পাবে।
ইয়া সামাদু (হে অভাবহীন, অমুখাপেক্ষী!)
মধ্য রাতে অথবা ভাের বেলায় এই পবিত্র নাম ১১১ বার পড়লে খাটি ঈমানদার হওয়া যায়।
শেষ রাতে ১০০ বার পড়লে ক্ষুধার কষ্ট দূর হবে।
ইয়া কাদিরু (হে শক্তিশালী!)
এই নাম নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে শত্রুতা দূর হবে।
দুই রাকয়াত নফল নামায পড়ে ১০০০ বার পাঠ করলে শক্তি বৃদ্ধি পায়।
ইয়া মুকতাদিরু (হে সর্বশক্তিমান!)
প্রত্যহ ঘুম থেকে উঠে এই পবিত্র নাম পাঠ করলে প্রবল প্রতাপশালী হওয়া যায়।
দেশের লােক তার বশ্যতা স্বীকার করে এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রেও অবশ্যই জয় লাভ করবে।
ইয়া মালিকাল মুলকি (হে বিশ্বপতি!)
মােনাজাতের সময় এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করলে দুঃখ-দারিদ্র দূর হয়।
প্রত্যেক নামাযের পর ৪১ বার পাঠ করলে ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধি হয় ।
ইয়া যালজালালি ওয়াল ইকরাম (হে
মর্যাদাবান ও মহিমাময়!)
এই পবিত্র নাম পাঠ করলে মান-মর্যাদা বৃদ্ধি পায় । অনেক বুযুর্গের মতে এটি ইসমে আযম (শ্রেষ্ঠ নাম)। এই নাম যিকির করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদেশ করেছেন ।
ইয়া রাব্বু (হে পালনকর্তা!)
এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করলে দারিদ্র্য দূর হয়। ঘরের চার কোণে ১০০ বার করে এটি পাঠ করলে ঝগড়া-কলহ দূর হয় ।
ইয়া মুকসিতু (হে ন্যায়বান!)
এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করলে শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে বেঁচে থাকা যায় এবং এবাদতে মন আকৃষ্ট হয়।
একাধারে তিন শুক্রবার ১০০ বার করে পড়লে
বে-ইনসাফ রাজা সৎপথে আসে।
ইয়া জামিউ (হে একত্রকারী:)
এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করলে বন্ধু-বান্ধন ও আত্মীয়-স্বজনের সহিত সদ্ভাব বহাল থাকে।
স্ত্রী-পুত্র হতে বিচ্ছিন্ন থাকলে রবিবার বিকালে গােসল করে আকাশের দিকে তাকিয়ে এই নাম একবার পড়বে এবং একটি আঙ্গুল বন্ধ করবে। এরূপে হাতের ১০টি আঙ্গুল বন্ধ করবে এবং সেই হাত নিজের মুখমণ্ডলে মুছবে। আল্লাহর রহমতে অতি শীঘ্র তাদের মধ্যে মিলমিশ ও স্নেহ-আদর বৃদ্ধি পাবে।
ইয়া গান্যিয়্যু (হে ঐশ্বর্যশালী!)
বিপদকালে এই পবিত্র নাম পাঠ করে হাতে ফুঁক দিয়ে মুখমণ্ডলে মুছলে ইনশাআল্লাহ অল্প দিনে বিপদ দূর হয়ে যাবে ।
ইয়া মুগনিউ (হে অভাব দূরকারী!)
এই পবিত্র নাম এক হাজার বার পাঠ করলে দারিদ্র্য দূর হয়।
যে ব্যক্তি এত্যেক রাত্রে আগে পরে ১১ বার করে দরূদ শরীফসহ এই নাম ১৩৬ বার পাট করবে, আল্লাহ তায়ালা তার অবস্থা স্বচ্ছল করে দিবেন। সে কখনও অভাবে পড়বে না, তার ঋণ শােধ হবে । মহা দুর্গতিতে পড়ে এই পবিত্র নাম শুক্রবারে আরম্ভ করে একাধারে আট দিনে আট হাজার বার পড়লে শীঘই সুখী হবে ।
ইয়া মু’তিউ (হে দাতা!)
এই পবিত্র নাম সকাল-বিকাল পাঠ করলে অভাব-অনটন দূর এবং প্রত্যহ ৩০ বার করে পাঠ করলে মনের বাসনা পূর্ণ হবে ।
ইয়া মানিউ (হে নিষেধকারী!)
অধিক পরিমাণে এই পবিত্র নাম পাঠ করলে কাজের বাধা দূর হবে। স্ত্রী-পুত্র উচ্ছংখল হলে বার বার পাঠ করলে আনুগত্য স্বীকার করবে। স্বামীর ক্ষেত্রে স্ত্রী অধিক মনােযােগ হবে।
ইয়া দাররু (হে বিপদ স্রষ্টা!)
এই পবিত্র নাম শুক্রবার রাতে ১০০ বার পাঠ করলে বিপদাপদ দূর হবে।
একাধারে কয়েক রাত পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে ভয় ও অস্থিরতা দূর হয়ে অন্তর জ্যোতির্ময় হবে।
ইয়া নাফিউ’ (হে সুফলদাতাঃ)
এই পবিত্র নাম পাঠ করে কোন কাজ শুরু করলে সে কাজে লাভবান হবে ।
ঝড়-তুফানের সময় পাঠ করলে খােদার ফজলে নিরাপদে থাকবে।
ব্যবসায়ীগণ প্রচুর লাভবান হবে এবং ডাক্তারদের হাত-যশ বৃদ্ধি পাবে।
ইয়া নূরু (হে জ্যোতি!)
এই পবিত্র নাম প্রত্যেক নামাযের পর ১০১ বার পাঠ করলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং চক্ষু ভাল থাকবে।
প্রত্যেক বৃহস্পতিবার ১০০০ বার পড়লে
অন্তঃকরণে আল্লাহর জ্যোতি প্রকাশিত হবে এবং বুজর্গী লাভ হবে। স্বপ্নযােগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে ।
ইয়া হাদিউ (হে সুপথ প্রদর্শক!)
এই পবিত্র নাম পাঠকারী ভুল-ভ্রান্তি হতে মুক্ত থাকে। জ্ঞান, বুদ্ধি, বিচার ও দূরদর্শিতা বৃদ্ধি পায়। ডাক্তার, হাকিম, উকিল, মােক্তার, মুন্সেফ ও ব্যবসায়ীদের জন্য এই নাম পাঠ করা বিশেষ প্রয়ােজন।
বিপদকালে বার বার পড়লে বিপদ দূর হয়।
ইয়া বাদীউ (হে নব স্রষ্টা!)
এই পবিত্র নাম একাগ্র চিত্তে পাঠ করলে সকল দুঃখ-কষ্ট দূর হয় এবং উদ্দেশ্য সফল হয়।
ইয়া বাকিউ (হে অনন্ত, স্থায়ী!)
এই পবিত্র নাম প্রত্যহ ১০০০ বার পাঠ করলে দুঃখ-কষ্ট লাঘব হবে এবং পাঠকারী আল্লাহর দরবারে যখন যে ফরিয়াদ করবে কবুল হবে।
ইয়া ওয়ারিসু (হে স্বত্ত্বাধিকারী!)
এই পবিত্র নাম মাগরিব ও এশার নামাযের মাঝখানে ১০০০ বার পাঠ করলে ভয় কষ্ট দূর হয়।
সূর্যোদয়কালে অযু করে পাঠ করলে দোজাহানের মঙ্গল হয় এবং বংশধরগণ পুণ্যবান হয়।
ইয়া সাবূরু (হে ধৈর্যশলী!)
এই পবিত্র নাম সূর্যোদয়ের পূর্বে ১০০ বার পাঠ করলে আপদ-বিপদ ও দুঃখ-কষ্ট দূর হয়।
ইয়া রাশীদু (হে সৎপথ প্রদর্শক!)
এই পবিত্র নাম প্রত্যেক এশার নামাযের পরে ১০০ বার পাঠ করলে যাবতীয় আমল কবুল এবং সৎপথে মন আকৃষ্ট হবে।
ইয়া সাদিকু (হে সত্যবাদী!)
এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করলে মন সত্য ও ন্যায়ের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং ঈমান দৃঢ় থাকবে।
ইয়া সাত্তারু (হে গােপনকারী!)
এই পবিত্র নাম প্রত্যহ ১০০ বার পাঠ করলে মান-সম্মান বজায় থাকবে এবং বিপদ দূর হবে।
ইয়া মুকাদ্দিমু (হে অগ্রসরকারী!)
ভয়ের জন্যে গৃহে একাকী থাকতে না পারলে এই পবিত্র নাম পাঠ করে অথবা তাবিজ লেখে সাথে রাখলে আল্লাহর রহমতে আতঙ্ক দূর হবে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে এ নাম পাঠ করলে শত্রুর উপর জয়ী হবে।
ইয়া মুআখখিরু (হে পশ্চাদবর্তীকারী!)
প্রত্যহ এই পবিত্র নাম ১০০ বার পাঠ করলে পরকালের মঙ্গল ও আল্লাহর ভীতি এবং দীর্ঘায়ু লাভ হয় ।
ইয়া আউয়ালু (হে আদি!)
প্রত্যেক জুময়ার রাতে এই পবিত্র নাম এক হাজার বার পাঠ করলে আল্লাহর ফজলে আত্মীয়-স্বজনের সাথে মিলন হবে। নিঃসন্তান ব্যক্তি একাধারে তিন জুময়ার রাতে এক হাজার বার করে পড়লে ইনশাআল্লাহ তার সন্তান জন্ম নিবে।
ইয়া আখিরু (হে অনন্ত!)
এই নাম প্রত্যহ এক হাজার বার পড়লে পরকালের পথ পরিষ্কার হয়। প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করলে আল্লাহ ছাড়া আর কোন খেয়াল থাকবে না। কিন্তু
আগে দৃঢ় অন্তরে তওবা করতে হবে।
ইয়া যাহিরু (হে প্রকাশ্য!)
এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করলে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পাবে। এশার নামাযের পরে ৫০০ বার পড়লে মনের আশা পূর্ণ হয়।
ইয়া বাতিনু (হে অপ্রকাশ্য!)
এই পবিত্র নাম সূর্যোদয়ের পর ১০৩০ বার পাঠ করলে গােপন রহস্য জানা যায়। স্বর্ণ-রৌপ্যের অলঙ্কার অথবা নগদ টাকা কারও কাছে আমানত রাখার পূর্বে উক্ত মালের সঙ্গে এই পবিত্র নামের একটি তাবিজ লেখে দিলে ইনশাআল্লাহ সেই মালের কোন ক্ষতি হবে না ।
ইয়া ওয়ালিউ (হে অধিপতি!)
এই পবিত্র নাম জপ করতে থাকলে ঝড় ও বজ্রের ক্ষতি হতে ইনশাআল্লাহ রক্ষা পাবে এবং নিরাপদে থাকবে।
ইয়া মুতায়ালী (হে সর্বোচ্চ!)
এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করলে মান-মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে । স্ত্রীলােকের ঋতুর কষ্ট হলে এই নাম পড়তে থাকলে তা দূর হবে।
নেফাসের কালে পাঠ করলে কোন প্রকার কষ্টবােধ হবে না ।
ইয়া বারুরু (হে মঙ্গলময়!)
এই পবিত্র নাম পাঠ করে শিশু ও বালক-বালিকার উপর ফুঁক দিলে তারা নিরাপদে থাকবে। যাদের সন্তান ছােট সময়ে মারা যায়, তারা প্রত্য ৭ বার পাঠ করে সন্তানের উপর ফুঁক দিলে আল্লাহর ফজলে নিরাপদে ও সুখে-শান্তিতে থাকবে।
ইয়া তাওয়াবু (হে ক্ষমাশীল!)
এই পবিত্র নাম প্রত্যহ ১০ বার পাঠ করলে অত্যাচারীর অত্যচার হতে রক্ষা পাবে, সর্বদা পাঠ করলে ঈমান দৃঢ় হবে।
ইয়া মুনয়েমু (হে নেয়ামতদাতা!)
এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করলে রুজি-রােজগার বৃদ্ধি পাবে।
১০০০ বার পাঠ করলে দোয়া কবুল হবে ।
ইয়া মুন্তাকিমু (হে প্রতিফলদাতা!)
এই পবিত্র নাম সর্বদা পাঠ করলে শত্রুতা দূর হয় । জুময়ার রাত্রে অধিক পরিমাণে পাঠ করলে শীঘ্রই শত্রু বাধ্য হয়ে যাবে ।
ইয়া আফুওউ (হে ক্ষমাশীল!)
এই পবিত্র নাম অধিক পরিমাণে পাঠ করলে গােনাহ মাফ হয় এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।
ইয়া রাউফু (হে দয়ালু!)
আল্লাহ তায়ালার এই পবিত্র নাম দশ বার পাঠ করে দশ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করলে অত্যাচারীর শক্রতা ও ক্রোধ কমে যায় ।
শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে রক্ষা পাওয়ার আমল | ইয়া মু’মিনু। (হে বিশ্বাসী!)
রােগমুক্ত হওয়ার আমল | ইয়া সালামু (হে শান্তিদাতা!)
কুঅভ্যাস দূর করার আমল | ইয়া কুদ্দুসু (হে পবিত্রতম!)
অন্তরের ময়লা দূর করার আমল |ইয়া মালিকু (হে প্রভু!)
প্রেমিক-প্রেমিকার প্রেম দৃঢ় করার আমল | ইয়া রাহীমু (হে দয়ালু!)
অন্যায় কাজ হতে দূরে থাকার আমল | ইয়া রাহমানু (হে পরম করুণাময়!)
Leave a Reply