সূরা মাউন – বাংলা অর্থ সহ
উচ্চারণঃ আরায়াইতল্লাযী ইয়ুকাযযিবু বিদ্দীন, ফাযালি কাল্লাযী ইয়াদু’উল। ইয়াতীম, ওয়ালা ইয়াহুদ্দু আ’লা ত্বোয়ামিল মিসকীন, ফাওয়াইলুল্লিল মুছাল্লীন। আল্লাযীনা হুম্ আংছালাতিহিম সাহূন। আল্লাযীনা হুম্ ইয়ুরাউনা ওয়া ইয়ামনাউ’নাল মাউ’ন।
অর্থ : (হে নবী!) আপনি কি দেখিয়াছেন ঐ ব্যক্তিকে যে কিয়ামতকে মিথ্যা বলিয়া প্রচার করে? অনন্তর সে ঐ ব্যক্তি, যে এতীমকে ধমক দেয় এবং নিঃস্ব ব্যক্তিকে খাবার দেওয়ার ব্যাপারে অপরকে উৎসাহ দেয় না। অতঃপর ঐ সকল নামাজীর জন্য বড়ই পরিতাপ-যাহারা তাহাদের নামাজে আলস্য করে, যাহারা লােক-দেখানাে নামাজ পড়ে; আর যাহারা নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যাদি অপরকে দিতে
অস্বীকার করে।
শানে নুজুল : মক্কার অন্যতম ধনী ব্যক্তি আবু-ছুফিয়ান প্রতি সপ্তাহে গবাদি পশু জবেহ্ করিয়া অন্যান্য কুরাইশ-নেতা ও সাঙ্গ-পাঙ্গদের লইয়া আমােদ-প্রমােদের সহিত উৎসব করিত। একদা সে একটি উট জবেহ করিয়াছিল । এমন সময় একটি এতীম বালক আসিয়া কিছু গােশত ভিক্ষা চাহিলে সে বালকটি সহিত নিষ্ঠুর ব্যবহার করিয়া তাড়াইয়া দেয় ।
তাছাড়া আবু-জেহেল কোন এক এতীম বালকের অভিভাবক ছিল। একদা সেই বালকটির আবু-জেহেলের নিকট সম্পত্তি হইতে কিছু অর্থ চাহিল। তখন আবু-জেহেল তাহাকে কিছুই না দিয়া বরং ধমক দিয়া তাড়াইয়া দিল ।
এই দুইটি ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া আল্লাহ তায়ালা এই সূরা নাজিল করেন । উপরােক্ত ব্যক্তিদ্বয়ের আচরণ যে খুবই খারাপ হইয়াছে এবং কাফের ব্যতীত পরকালে বিশ্বাসী কাহারও পক্ষে এতীমের সাথে এমন দূর্ব্যবহার করা শোভন নয়, এই সূরার মাধ্যমে তাহাই বুঝান হইয়াছে।
Leave a Reply