সূরা ফাতিহা
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আ-লামীন । আর-রাহমা-নির রাহীম। মালিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যাক না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈ’ন। ইহদিনাছ ছিরাত্বল মুসতাক্বীম, ছিরাত্বল্লাজীনা আন্ আ’মতা আলাইহিম। গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ্ দ্বা-ললীন । আমীন।
অর্থ : সমুদয় প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য-যিনি সমগ্র জগতের প্রতিপালক, পরম করুণাময় এবং অতি দয়ালু; যিনি বিচার-দিবসের অধিপতি।
হে আল্লাহ! আমরা তােমারই এবাদত করি এবং তােমারই সাহায্য প্রার্থনা করি ।
তুমি আমাদিগকে সরল-সােজা পথে চালিত কর, তাঁহাদের পথে-যাহারা তােমার অনুগ্রহ লাভ করিয়াছেন, (নবীদের ও ঈমানদারগণের পথে)। তাহাদের পথে নহে-যাহারা অভিশাপ্ত ও পথভ্রষ্ট (ইহুদী, নাছারা ও কাফের-মুশরেকগণ) ।
অবতীর্ণ হওয়ার কারণঃ
হযরত রাসূলে করীম (দঃ) যখন হেরা গুহায়
অবস্থান করিতেন, তখন কখনও কখনও কেহ যেন অদৃশ্য স্থান হইতে তাহাকে
হে মুহাম্মদ, হে মুহাম্মদ” বলিয়া ডাকিতেন। একদা সেই আহ্বান শুনিবার পর
স্বগৃহে ফিরিয়া তিনি প্রিয়তমা পত্নী হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর নিকট তাহা বিবৃত
করিলে, তিনি হযরত (দঃ)-কে সঙ্গে লইয়া তৎকালের বিজ্ঞ ও প্রবীন ঈসায়ী
আলেম ওয়ারাকার নিকট গেলেন । ঘটনার বিবরণ শুনিয়া ওয়ারাকা আঁ-হযরত
(দঃ)কে বলিলেন, “ইহা শেষ নবীর লক্ষণ। ভবিষ্যতে কখনও যদি আপনি
অনুরূপ আহ্বান শুনিতে পান, তবে ‘লাব্বাইকা লাব্বাইকা’ (আমি হাজির আছি)
বলিয়া সেই আহ্বানে সাড়া দিবেন।” অতঃপর হযরত নবী-করীম (দঃ) একদা
হেরা পর্বতের দিকে যাইতেছিলেন, এমন সময় পথিমধ্যে এক স্থানে অনুরূপ
আওয়াজ শুনিয়া ওয়ারাকার পরামর্শ অনুযায়ী উহাতে সাড়া দিলেন। তখন হযরত
জিরাঈল ফেরেশতা (আঃ) সূরা ফাতিহার ওহী লইয়া উপস্থিত হইলেন এবং
নবী-করীম (দঃ)-কে উহা পড়াইয়া গেলেন। -(তাফসীরে খাজেন)
লিখার সূত্র
মােক্ছুদুল মাে’মিনীন
বা
বেহেশতের সম্বল
১ম, ২য় ও ৩য় খণ্ড একত্রে থেকে
Leave a Reply