আসমানী কিতাব সমূহ। ইসলাম প্রতিদিন-আসমানী কিতাব সমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন।
ঈমানের তৃতীয় বিষয় হলো আসমানী কিতাব সমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন।
আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে সৃষ্টি করতঃ তাহাদের পৃথিবীতে পাঠাইয়া দিয়াই দায়িত্বমুক্ত হন নাই।
বরং তাহাদের হেদায়েতের জন্য যুগে যুগে আপন বাণী বা পয়গম্বর পাঠিয়েছেন, আল্লাহর এই সমস্ত বাণী বা কালাম মানবজাতির জন্য পথ-নির্দেশক, পথ ভ্রষ্ট তার ঘোর অন্ধকার হইতে মানুষকে সত্যের আলোকে টানিয়া আনিবার জন্য আলোকবর্তিকা স্বরূপ।
আসমানী কিতাব সমূহের মোট সংখ্যা ১০৪, তন্মধ্যে চারিখানি প্রধান,
এগুলো হচ্ছে-
(ক) তওরাত — ইহা হযরত মূসা (আঃ) এর উপরে নাজিল হইয়াছে।
(খ) যাবুর — ইহা হযরত দাউ (আঃ) এর উপরে নাজিল হইয়াছে।
(গ) ইন্ জীল — ইহা হযরত ঈসা (আঃ) এর উপরে নাজিল হইয়াছে।
(ঘ) কোরআন বা ফোরকান — ইহা সর্বশেষ আসমানী কিতাব, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (দঃ) এর উপর নাযিল হয়েছে।
উপরোক্ত চারি খানি প্রধান কিতাব ছাড়া আরও একশতখানি কিতাব বিভিন্ন পয়গম্বরদের নিকট নাজিল হইয়াছে।
সেইগুলিকে ‘ছহীফা’ বলা হয়, একশতখানির মধ্যে হযরত আদম (আঃ) দশখানি, হযরত শীষ (আঃ) পঞ্চাশখানি, হযরত ইদ্রীস (আঃ) ত্রিশখানি এবং হযরত ইব্রাহিম (আঃ) দশখানি পাইয়াছেন।
লেখাটির সূত্রঃ-
মাওলানা মোহাম্মদ আজিজুল হক
সাহেবের লেখা,
মকসুদুল মোমেনিন বা বেহেশতের সম্বল, বইটির প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় খন্ড একত্রে থেকে।
পরিবেশনায়ঃ-
সোলেমানিয়া বুক হাউস
বায়তুল মোকাররম, বাংলাবাজার ঢাকা।
Leave a Reply