সূরা আল লাইল – বাংলা অর্থ সহ
উচ্চারণ : ওয়াল্লাইলি ইযা ইয়াগশা। ওয়ান্নাহারি ইযা তাজাল্লা। ওয়ামা খালাক্বায যাকারা ওয়াল উনসা। ইন্না সা’ইয়াকুম লাশাত্তা। ফাআম্মা মান্ আ’তা ওয়াত্তাকা। ওয়া সাদ্দাকা বিলহুসনা। ফাসানুইয়াসিরুহু লিলইউসরা। ওয়া আম্মা মাম বাখিলা ওয়াসতাগনা। ওয়া কাযযাবা বিলহুসনা । ফাসানুইয়াসসিরুহু লিলউসরা। ওয়ামা ইউগনী আনহু মালুহু ইযা তারাদ্দা। ইন্না আলাইনা লালহুদা। ওয়া ইন্না লানা আল্আখিরাতা ওয়াল ঊলা । ফাআনযারতুকুম নারান তালাযযা । লা ইয়াসলাহা ইল্লাল আশকা। আল্লাযী কাযযাবা ওয়া তাওয়াল্লা। ওয়া সাইউজান্নাবুহাল আতকা। আল্লাযী ইউ’তী মা লাহু ইয়াতাযাককা। ওয়ামা লিআহাদিন ইনদাহু মিন্ নি’মাতিন তুজযা। ইল্লাবতিগাআ ওয়াজহি রাব্বিহিল। আ’লা। ওয়ালা সাওফা ইয়ারদা ।
অর্থ : শপথ রাতের যখন তা সূর্যকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলে। আর দিবসের যখন তা আলােকিত হয়। আর তাঁহার যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করিয়াছেন। নিশ্চয়ই তােমাদের প্রচেষ্টা বিভিন্নমুখী। অতঃপর যে আল্লাহর রাহে দান করিয়াছে এবং আল্লাহকে ভয় করিয়াছে আর ভাল কথা (ইসলাম) বিশ্বাস করিয়াছে, আমি তাহাকে সুখের বিষয়ের (জান্নাতের) জন্য সহজ পথ দান করব। আর যে কৃপণতা করে ও বেপরওয়া হয় এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে করে আমি তাহাকে কষ্টদায়ক বস্তু (জাহান্নাম)-এর জন্য অসবাব দান করিব। আর তাহার ধন-সম্পদ কোন কাজে আসিবে না, যখন সে জাহান্নামে পতিত হইবে । বাস্তবিকই আমার দায়িত্ব শুধু রাস্তা দেখাইয়া দেওয়া। আর আমারই আয়ত্তে রহিয়াছে পরকাল ও ইহকাল। অনন্তর আমি তােমাদিগকে এক প্রজ্বলিত অগ্নির ভয় দেখায়াছি। তাহাতে কেবল সেই হতভাগাই প্রবেশ করিবে যে সত্য ধর্ম অবিশ্বাস করিয়াছে এবং তাহা হইতে মুখ ফিরাইয়া রাখিয়াছে। আর তাহা হইতে এমন ব্যক্তিকে দূরে রাখা হইবে, যে অত্যন্ত পরহেজগার। যে নিজ ধন-সম্পদ শুধু এই নিয়তে দান করে, যেন সে পাক হয় (অর্থাৎ শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভই তাহার উদ্দেশ্য। আর তাহার বিষয়ে কারাে কোন এহসান ছিল না যে, তাহার প্রতিদান দিতে হয় নিজের মহােন্নত প্রভুর সন্তুষ্টি সাধন ব্যতীত, আর অতি সত্বর সে সন্তুষ্ট হইয়া যাইবে।
Leave a Reply