নামাজের মধ্যে সাতটি ফরজ কাজ
নিম্নলিখিত সাতটি কাজ নামাজের ভিতর ফরজ। এইগুলিকে ‘নামাজের আরকান’ বলা হয়। কাজগুলাে হইতেছে ।
১। তাকবীরে তাহরীমাঃ অর্থাৎ আল্লাহু আকবার’ বলিয়া নামাজ আরম্ভ করা। কোন ব্যক্তি মসজিদে আসিয়া দেখিতে পাইল যে, জামায়াতে নামাজ হইতেছে এবং ইমাম রুকুতে চলিয়া গিয়াছেন। এই অবস্থায় ঐ ব্যক্তি তাড়াতাড়ি রুকুতে শামিল হইয়া ঐ হালতে থাকিয়াই তাবীরে তাহরীমা বলিল ইহাতে তাহার নামাজ শুদ্ধ হইবে না। কারণ, সে তাবীরে তাহরীমার সহিত নামাজ আরম্ভ করে নাই। -(দোঃ মােখতার)
২। দাঁড়াইয়া নামাজ পড়াঃ দাঁড়াইয়া নামাজ পড়া নামাজের অন্যতম রুকুন। (তবে রােগ-কাতরতা অন্য কোন ওজরের দরুন দাঁড়াইতে অক্ষম হইলে বসিয়া অথবা যেইভাবে সম্ভব নামাজ আদায় করিবে ।)
৩। কেরাত করাঃ অর্থাৎ সূরায়ে ফাতিহা’ বা আলহাম্দু সূরা পাঠের পর কোরআন শরীফের কিছু আয়াত বা কোন সূরা পড়া ।
৪। রুকু করাঃ অনেককেই দেখা যায়, দাঁড়ান অবস্থা হইতে সামান্য একটু ঝুঁকিয়া হাঁটুতে হাত ছোয়ান মাত্রই অবিলম্বে সেজদায় চলিয়া যায়, যাহা দেখিলে রুকু করা হইতেছে বলিয়া বুঝিবার উপায় থাকে না। এইরূপ কখনও করিবে না। একটি ফরজ কাজ যাহাতে ভালভাবে পালন হয়, তৎপ্রতি সতর্ক থাকিবে ।
৫। সেজদা করাঃ সেজদার বেলায়ও অনেকে মােরগের আহার ঠোকরাইয়া খাওয়ার মত দৃশ্যের সৃষ্টি করে। এইরূপ যাহারা করে, তাহারা একটি ফরজ কাজের গুরুত্ব উপলব্ধি করিতে পারে না বলিয়াই এইরূপ করিয়া থাকে।
৬। শেষ-বৈঠক করাঃ যে কয়েক রাকাত নামাজ পড়িবে, তাহা পড়া হইলে শেষবারের মত বৈঠক করা ফরজ।
৭। নামাজ হইতে বাহির হওয়াঃ (নামাজের মধ্যে করা যায় না সেইরূপ কোন কাজ করিয়া অথবা সালাম ফিরাইয়া) নামাজ হইতে বাহির হওয়া ফরজ।-(হেদায়া)
নামাজের ভিতরের এই যে সাতটি ফরজের কথা উল্লেখ করা হইল উহাদের কোনটি স্বেচ্ছায় বাদ দিলে বা ভুলক্রমে বাদ পড়িলে নামাজ শুদ্ধ হইবে না। পুনরায় সেই নামাজ পড়িতে হইবে।-(হেদায়া)
Leave a Reply