জুমার নামাজ কত রাকয়াত?
কোন কোন ব্যক্তি জুমা’র নামাজ ২২ রাকয়াত বলিয়া ধারণা করিয়া থাকে।
সেই ২২ রাকয়াতের হিসাব এইভাবে করা হয় –
তাহিয়্যাতুল ওজু-২ রাকয়াত, দুখুলুল মসজিদ-২ রাকয়াত, কাবলাল জুমা’-৪ রাকয়াত, ফরজ-২ রাকয়াত, বা’দাল জুমা’-৪ রাকয়াত, আখিরিজোহর-৪ রাকয়াত, ওয়াক্তস সুন্নত-২ রাকয়াত, নফল-২ রাকয়াত, মােট ২২ রাকয়াত।
* এই ব্যাপারে মাসয়ালা হইতেছে এই যে, ওজু করিলে ওজুর সম্মানার্থে নামাজের মাকরূহ সময় ছাড়া অন্য যেকোন সময় তাহিয়্যাতুল ওজু নামাজ পড়া যায় এবং পড়িলে বিপুল ছাওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়। জুমার দিন বা জুমা’র
নামাজের সময় তাহিয়্যাতুল ওজু’ নামাজ পড়িতে হইবে, এইরূপ কোন খাস হুকুম নাই।
“দুখুলুল মসজিদ’ সম্পর্কেও এই একই কথা। যে-কোন দিন যে-কোন সময় (নামাজের মাকরূহ সময় ব্যতীত) মসজিদে প্রবেশ করিলে মসজিদের তা’জীমের তথা আল্লাহর তা’জীমের নিয়তে অন্ততঃ দুই রাকয়াত নফল নামাজ পড়িলে বিপুল নেকী লাভ হয়। জুমা’র সময়ে ‘দুখুলুল মসজিদ’ এর নামাজ পড়িতে হইবে বলিয়া কোন খাস হুকুম নাই ।
যে স্থানে জুমা’ ফরজ হওয়া সম্পর্কে সন্দেহ রহিয়াছে, সেই স্থানে চারি রাকয়াত আখিরিজ্জোহর পড়া উত্তম বলিয়া ওলামা-কেরামের অনেকে অভিমত দিয়াছেন । কিন্তু বর্তমানে আমাদের এতদ্দেশ্যে কোন অঞ্চলে জুমা’ ফরজ হওয়া সম্পর্কে সন্দেহের কোনই অবকাশ নাই; সুতরাং আমাদের আখিরিজ্জোহর পড়ার কোনই যৌক্তিকতা নাই।
‘ওয়াকতু সসুন্নত’-ইহা সুন্নতে-জায়েদা-যাহা পালন করিলে ছাওয়াব হয়, না করিলে কোন গুণাহ হয় না। অন্যান্য দিন জুহূরের ফরজের পর যে দুই রাকয়াত সুন্নতে মুয়াক্কাদা পড়া হয়, উহার স্থলে এই দুই রাকয়াত ওয়াক্কুস সুন্নত পড়া হইয়া থাকে তাহা হইলে এই নামাজ পড়া উত্তম।
আর, নফল নামাজ ত নামাজের মাকরূহ সময় ব্যতীত দিবা-রাত্রির অন্য যে-কোন সময়ে পড়া যায়; বরং নফল এবাদত যত বেশী করিবে, আল্লাহর নৈকট্য ততবেশী লাভ হইবে ।
মােটকথা, ফরজকে ফরজ, ওয়াজিবকে ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদাকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা, সুন্নতে জায়েদাকে সুন্নতে জায়েদা এবং নফলকে নফলই মনে করিবে। নফল বা সুন্নতে জায়দাকে সুন্নতে-মুয়াক্কাদা অথবা ফরজ ওয়াজিব মনে করা অন্যায়। সুতরাং জুমার নামাজ কত রাকয়াত-তাহা হিসাব করিতে কোন নামাজ কোন পর্যায়ের, তাহার সঠিক ধারণা থাকা উচিত। এই প্রসঙ্গে এইকথা মনে রাখা প্রয়ােজন যে, জুমার দিনের ফজিলত অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশী । অতএব এই দিনে নফল এবাদত যত বেশী সম্ভব করিবার চেষ্টা করিবে।
==================================
কোন ওয়াকতের নামাজ, কোন ধরনের নামাজ-ফরজ, কি ওয়াজিব কি সুন্নত এবং কত রাকয়াত-তাহা মনে মনে স্থির করাই আসল নিয়ত। মনে মনে স্থির করার সাথে সাথে মুখে নিয়ত উচ্চারণ করা উত্তম। তাহাতে মন-মুখ এক হইয়া নামাজে মশগুল হয়। বাংলা ভাষায়ও নিয়ত করা চলে, তবে আরবীতে নিয়ত করা ‘আফজাল’ বা উত্তম। নিম্নে প্রত্যেক নামাজের নিয়ত আলাদাভাবে বর্ণনা
করা হইতেছে।
===========================
জুমা’র খুতবা সম্বন্ধে মাসয়ালা
জুমা’ কাহাদের উপর ফরজ? জেনেনিন
জুমার নামাজের হুকুম | বিস্তারিত আলোচনা
নফল নামাজের নিয়ত সমূহ – হালিশহর নিউজ
বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম ও দোয়া কুনূত বাংলা অর্থ সহ
এশার নামাজের নিয়ত সমূহ – হালিশহর নিউজ
মাগরিবের নামাজের নিয়ত সমূহ – হালিশহর নিউজ
আছরের নামাজের নিয়ত সমূহ – হালিশহর নিউজ
জোহরের নামাজের নিয়ত সমূহ – হালিশহর নিউজ
ফজরের নামাজের নিয়ত সমূহ -হালিশহর নিউজ
নামাজের কতিপয় মুখস্থ বিষয় | জেনেনিন নামাজের মুখস্থ বিষয় সমূহ- হালিশহর নিউজ
মােনাজাত – প্রত্যেক ফরয নামায শেষে
দোয়া মাসূরা- নামাজে দুরূদ শরীফের পর দোয়া মাসূরা’ পড়িতে হয়।
দুরূদ শরীফ- নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর এই দুরূদ শরীফ পড়িতে হয়- দুরুদে ইব্রাহীম
নামাজের শেষে – তাশাহহুদ বা আত্তাহিয়্যাতু
সেজদায় যাইয়া এই তাসবীহ পড়িতে হয়-
নামাজ এ রুকু হইতে দাঁড়াইয়াঃ সেজদায় যাওয়ার পূর্বে যে দোয়া পড়িতে হয়-
রুকুর তাসবীহ, রুকুতে যাইয়া এই তাসবীহ পড়িতে হয়-
নামাযে যে ছানা পড়তে হয় | বাংলা অর্থ সহ ছানা
নামাজের বিছানায় বা জায়নামাজে দাঁড়াইয়া যে দোয়া পড়িতে হয়
Leave a Reply