জুমা’র খুতবা সম্বন্ধে মাসয়ালা
* প্রথম আযানের পর মুছল্পীগণ আসিয়া পৌছিলে এবং ‘কাবলাল জুমা সুন্নত, পড়া হইলে, ইমাম মিম্বরে আরােহণ করিয়া বসিবে এবং তাহার সামনে দাঁড়াইয়া মুয়াযযিন আবার আযান দিবে। আযানের পর ইমাম দাঁড়াইয়া খুতবা পাঠ করিবেন।
* খুতবা সম্পৰ্কীয় সুন্নত কাজসমূহ হইতেছে দাঁড়াইয়া খুতবা পাঠ করা; দুইটি খুতবা পাঠকরা; দুই খুতবার মধ্যখানে তিনবার ছুবহানাল্লাহ পড়িতে পারে, এই পরিমাণ সময় অপেক্ষা করা; খুতবা আরম্ভ করার সময় মনে মনে ‘আউযু বিল্লাহ’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ পড়া; মিমবরে দাঁড়াইয়া খুতবা পাঠ করা; খুতবার মধ্যে আল্লাহ তায়ালার হামদ ও হযরত রাসূলুল্লাহর প্রশংসা বর্ণনা করা; আল্লাহর তওহীদ ও নবীজীর রিসালতের সাক্ষ্য দান করা; আরবী ভাষায় খুতবা দান করা; খুতবার ভিতর আঁ-হযরত (দঃ)-এর নামে দুরূদ শরীফ পড়া; দ্বীন ও ঈমান এবং মুসলমানদের আকীদা ও আমল-আখলাক সম্পর্কে উপদেশ দান করা; কোরআন শরীফের কিছু অংশ তেলাওয়াত করা; মুছল্লীদের দিকে মুখ করিয়া দাঁড়াইয়া খুতবা দান করা আর মুছল্লীদের কেবলামুখী বসিয়া খুতবা শ্রবণ করা। (দুঃ মুঃ)
* দ্বিতীয় খুতবায় আঁ-হযরত (দঃ)-এর আহলে বাইত (পরিবারবর্গ), খুলাফায়ে রাশেদীন, আশারায়ে মুবাশশারা (অর্থাৎ, বেহেশতের সুসংবাদ প্রাপ্ত দশ ব্যক্তি), -এর জন্য দোয়া করা মুস্তাহাব। -(বাঃ বারেক)
* ইমাম খুতবা পাঠের জন্য মিম্বরে আরােহণ করিলে, তখন হইতে খুতবা শেষ হওয়া পর্যন্ত মুছল্লীগণের নামাজ পড়া সালামের উত্তর দেওয়া, কোন রকম বাক্যালাপ করা, কোন কিছু পানাহার করা, এইদিক-ঐদিক হাটাহাটি করা ইত্যাদি নিষেধ। তবে কাজা নামাজ অনাদায় থাকিলে-যাহা আদায় না করিলে জুমার নামাজ পড়া শুদ্ধ হয় না, তাহা খুতবা চলাকালীন পড়িয়া লইবে। -(দেঃ মােঃ)
* খুতবা আরম্ভ হওয়ার পূর্বে কোন ব্যক্তি কাবলাল জুমা’ চারি রাকয়াত সুন্নতে-মুয়াক্কাদা নামাজ পড়িতে না পারিলে ইমাম যখন দ্বিতীয় খুতবা পাঠ করিবেন, তখন ঐ ব্যক্তি তাহা পড়িয়া লইতে পারিবে।-(দুঃ মুঃ)
* খুতবা পাঠ চলাকালে সকল মুছল্লী চুপ হইয়া মনােযােগ সহকারে খুতবা শুনিবে। ইমাম হইতে দূরে থাকার দরুণ খুতবার আওয়াজ শুনিতে না পাইলেও চুপ করিয়া থাকা ওয়াজিব। -(শামী বাঃ রায়েক)
* কোন ব্যক্তি কাবলাল জুমা’ চারি রাকয়াত সুন্নত নামাজের কিছু অংশ পড়িয়া ফেলিয়াছে, এই অবস্থায় খুতবা আরম্ভ হইয়া গেলে তখন সে তাহার অবশিষ্ট নামাজ পূরা করিয়া লইবে । -(দুঃ মুঃ)
* খুতবার মধ্যে হযরত নবী-করীম (দঃ)-এর পবিত্র নাম উচ্চারিত হইলে মনে মনে দুরূদ শরীফ পড়িৰে। -(বাঃ রায়েক)
* দুই খুতবার মধ্যবর্তী সময়ে হাত তুলিয়া দোয়া করা মাকরূহে তাহরীমা। -(রীঃ মােঃ)
* খুতবা শেষ হওয়ার পর বিনা কারণে নামাজ আরম্ভ করিতে বিলম্ব করা মাকরুহ। খুতবার পর নামাজ আরম্ভ করিতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করিয়া ফেলিলে পুনরায় খুতবা পড়িতে হইবে। তবে, নামাজ সংক্রান্ত কোন জরুরী মাসয়ালা শিক্ষা দিলে, সেই কারণে নামাজ আরম্ভ করিতে কিছুক্ষণ বিলম্ব হইলে ক্ষতি নাই। (দোঃ মােঃ)
===================================
কোন ওয়াকতের নামাজ, কোন ধরনের নামাজ-ফরজ, কি ওয়াজিব কি সুন্নত এবং কত রাকয়াত-তাহা মনে মনে স্থির করাই আসল নিয়ত। মনে মনে স্থির করার সাথে সাথে মুখে নিয়ত উচ্চারণ করা উত্তম। তাহাতে মন-মুখ এক হইয়া নামাজে মশগুল হয়। বাংলা ভাষায়ও নিয়ত করা চলে, তবে আরবীতে নিয়ত করা ‘আফজাল’ বা উত্তম। নিম্নে প্রত্যেক নামাজের নিয়ত আলাদাভাবে বর্ণনা
করা হইতেছে।
===========================
জুমা’ কাহাদের উপর ফরজ? জেনেনিন
জুমার নামাজের হুকুম | বিস্তারিত আলোচনা
নফল নামাজের নিয়ত সমূহ – হালিশহর নিউজ
বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম ও দোয়া কুনূত বাংলা অর্থ সহ
এশার নামাজের নিয়ত সমূহ – হালিশহর নিউজ
মাগরিবের নামাজের নিয়ত সমূহ – হালিশহর নিউজ
আছরের নামাজের নিয়ত সমূহ – হালিশহর নিউজ
জোহরের নামাজের নিয়ত সমূহ – হালিশহর নিউজ
ফজরের নামাজের নিয়ত সমূহ -হালিশহর নিউজ
নামাজের কতিপয় মুখস্থ বিষয় | জেনেনিন নামাজের মুখস্থ বিষয় সমূহ- হালিশহর নিউজ
মােনাজাত – প্রত্যেক ফরয নামায শেষে
দোয়া মাসূরা- নামাজে দুরূদ শরীফের পর দোয়া মাসূরা’ পড়িতে হয়।
দুরূদ শরীফ- নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর এই দুরূদ শরীফ পড়িতে হয়- দুরুদে ইব্রাহীম
নামাজের শেষে – তাশাহহুদ বা আত্তাহিয়্যাতু
সেজদায় যাইয়া এই তাসবীহ পড়িতে হয়-
নামাজ এ রুকু হইতে দাঁড়াইয়াঃ সেজদায় যাওয়ার পূর্বে যে দোয়া পড়িতে হয়-
রুকুর তাসবীহ, রুকুতে যাইয়া এই তাসবীহ পড়িতে হয়-
নামাযে যে ছানা পড়তে হয় | বাংলা অর্থ সহ ছানা
নামাজের বিছানায় বা জায়নামাজে দাঁড়াইয়া যে দোয়া পড়িতে হয়
Leave a Reply