নিম্নলিখিত কারণসমূহ ঘটিলে ওজু ভঙ্গ হইয়া যায়। যথা-
(১) বাহ্য-প্রস্রাবের রাস্তা দিয়া মল, মূত্র বায়ু, বীর্য, গুড়ক্রিমি ইত্যাদির কোন কিছু বাহির হওয়া।
(২) শরীরের কোন স্থান হইতে রক্ত, পূজ বা দূষিত পানি গড়াইয়া পড়া।
(৩) দাঁতের মাড়ী হইতে ঐ পরিমাণ রক্ত বাহির হওয়া-যাহাতে থুথু বর্ণ লাল হইয়া যায়। কিন্তু থুথুর বর্ণ পরিবর্তিত না হইলে ওজু নষ্ট হইবে না ।
(৪) মুখ ভরা বমি হওয়া। মুখ ভরা কফ উঠিলে ওজু নষ্ট হয় না।
(৫) চিৎ বা কাত হইয়া বা কোন বস্তুতে ঠেস্ দিয়া নিদ্রা যাওয়া ।
(৬) উম্মাদ, মাতাল বা অন্য কোন কারণে অচেতন হইয়া পড়া।
(৭) স্বামী-স্ত্রী পরস্পর কামােত্তেজনা সহকারে নগ্নদেহে মিলিত হওয়া।
(৮) যে-নামাজে রুকু-সেজদা আছে, তাহাতে বালেগ লােকের উচ্চস্বরে হাসা। এতে ওজু এবং নামাজ-দুইটাই নষ্ট হইয়া যায়। কিন্তু যে নামাজে রুকু সেজদা নাই, উহাতে উচ্চস্বরে হাসিলে শুধু নামাজই নষ্ট হয়, ওজু ভঙ্গ হয় না।
কোন কোন মহিলার ধারণা, ওজু করার পর কোন পুরুষের সহিত সাক্ষাৎ হইলে পরদা অমান্যের জন্য গুনাহগার হইবে, কিন্তু ওজু নষ্ট হইবে না। আর
যাহাদের সহিত দেখা দেওয়া দূরুস্ত আছে, তাহাদের সামনে গেলে ওজু নষ্ট হওয়া প্রশ্নই উঠে না।
ওযুর গুরুত্ব ও ওজুর ফজিলত | হালিশহর নিউজ
ওজুতে সুন্নত্ কি কি? জেনেনিন ওযুর সুন্নাত সমূহ | হালিশহর নিউজ
ওজুতে মাকরুহ্ কি কি? ওযুর মাকরুহ্ – হালিশহর নিউজ
Leave a Reply