চট্রগ্রাম নৌ বন্দরের মাধ্যমে কলকাতা পণ্য বাহী জাহাজ এনে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে ।
১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার কলকাতা বন্দর থেকে প্রথম কন্টেইনারবাহী এম বি সেজুতি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করেছেন।
৪ কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভারতে যাচ্ছে , ভারতীয় পণ্য ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৭ ধরনের মাশুল আদায় করবে।
এই ৭ টি হলোঃ
প্রতি চালানে প্রসেসিং ফি ৩০ টাকা,
প্রতি টনের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট ৩০ টাকা,
নিরাপত্তা মাশুল ১০০ টাকা,
এসকর্ট মাশুল ১০০ টাকা, এবং অন্যান্য প্রশাসনিক মাশুল ১০০ টাকা,
এছাড়া প্রতি কন্টেইনারে স্ক্যানিং ২৫৪ টাকা এবং বিধি অনুযায়ী ইলেকট্রিক সিলের মাশুল প্রযোজ্য হবে।
এই নির্ধারিত সাতটি মাশুল বাবদ বাংলাদেশ কন্টেনারপ্রতি ৪৮ থেকে ৫৫ ডলার পাবে।
এই মাশুলের বাইরে চট্টগ্রাম বন্দর মাশুল যোগ হবে বলে বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জাহাজ থেকে কন্টেইনার নামানোর আর সড়ক পথে পণ্য পরিবহন ভাড়া পাবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান,
জাহাজের থেকে এই ৪ কন্টেইনার সরাসরি গাড়িতে নেয়া হবে, এতে বন্দর মাশুল পাবে ১৬ ডলার,অর্থাৎ পরীক্ষা মূলক এই চালানে সরকারি ফি বাবদ আদায় হবে, ৬৪ ডলার থেকে ৭১ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় ৬০০০ হাজার টাকার মত প্রতি কন্টেনারে, তবে সরাসরি জাহাজ থেকে গাড়িতে না তুলে, যদি বন্দরে নামানো হয় তবে ১৬ ডলারের পরিবর্তে ৪০ ডলার পাবে বন্দর।
এছাড়া আগরতলা পর্যন্ত পৌছাতে দেশিয় কোম্পানি পাবে, পরিবহন খরচ বাবদ ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা অর্থাৎ পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান ৪১১ থেকে ৪৭০ ডলারের মত পাবে। উল্লেখ্য এইটা সরকার পাবে না যারা পণ্য পরিবহন করে তারা পাবে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতেন দুই দেশের চুক্তি হয়, চুক্তিতে আটিকেল ৪ র বলা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে যে ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে।
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে পরিবাহিত ইন্ডিয়ার পণ্যের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সুবিধা প্রদান করবে, এছাড়া এ ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায়োরিটি বৃত্তিতে স্পেস প্রদান করবে, তবে ডেডিকেটেড নয়।
ভারতীয় পণ্য অগ্রাধিকার দেয়ার প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক হালিশহর নিউজকে বলেছেন, এর অর্থ এই নয় ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজ বেড়ানোর জন্য, আমরা দেশিয় জাহাজকে জেটি থেকে বের করে দেব, বন্দরের জেটি খালি থাকা সাপেক্ষে তাদের এই সুবিধা দেয়া হবে, একই দিনে একটি বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের পণ্য বোঝাই জাহাজ ও ভারতের পণ্য বোঝাই জাহাজ বন্দর এলে কোনটি আগে বন্দরে ভিড়বে, জানতে চাইলে তিনি বলেন দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী অবশ্যই ভারতের পণ্যবাহী জাহাজ টিকে আগে প্রায়োরিটি দিতে হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক
এনামুল হক বলেন, বর্তমানে বন্দরে জাহাজ জট বা কন্টিনার জট নেই, ফলে এখন প্রায়োরিটি দেয়া না দেয়া একই কথা, করোনার শুরুতে প্রতিটি জাহাজের গড় অবস্থানে ৪ দিন হলেও, তা কমে এখন একদিনে চলে এসেছে।
নিউজ বন্দর প্রতিনিধি- মিল্লাত হোসেন
halishahar news- chittagong port new
Leave a Reply