বিনামূল্যে আইনী সেবা প্রদান। জেনে নিন কিভাবে ফ্রি আইনী সহয়তা পাবেন।
আমাদের সমাজে বিভিন্ন সময়ে নিম্ন আয়ের মানুষেরা নানাভাবে শোষিত নির্যাতিত হচ্ছে।
কিন্তু তারা তাদের আর্থিক সামর্থের অভাবে আদালতে যেতে পারছেন না।
আদালতে বিভিন্ন খরচ, আইনজীবীর ফিস, ইত্যাদি খরচ বহন করার সামর্থ্য না থাকায় আইনি সেবা পাচ্ছে না।
উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি যে, রহিম গ্রামের একজন চাষা, তার বাবা রেখে যাওয়া পৈত্রিক বসত ভিটাতে সে বসবাস করে।
অন্যের জমি চাষ করে সে জীবন চালায়। তার পার্শ্ববর্তী করিম এসে তাকে জানায় যে, রহিমের বসতভিটা সরকারের নামে রেকর্ড করা হয়েছে।
রহিম চিন্তায় পড়ে যায় এখন সে কি করবে? কোথায় যাবে? রহিমের মত অসামর্থ ব্যক্তি যাদের বার্ষিক আয় ১০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার উর্ধ্বে নয়, কর্মে অক্ষম,
শারীরিক মানসিক এবং যৌন নির্যাতনের শিকার যে কোন নারী ও শিশু, অস্বচ্ছল বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত মহিলা, যে কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বিনা বিচারে কারাগারে বন্দি ব্যক্তিসহ অন্যান্য সুবিধা বঞ্চিত ব্যক্তিদের আইনি সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করনের জন্য বাংলাদেশ সরকার আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০ প্রনয়ন করেছে।
এই আইনের আওতায় সরকার দেশের প্রতিটি জেলার, জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১টি করে লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করেছে।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতে সরকারি আইনী সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস।
প্রতিটি লিগ্যাল এইড অফিসে সিনিয়র সহকারী জজ/সহকারী পদমর্যাদার একজন বিচারক লিগ্যাল এইড অফিসার হিসাবে কাজ করছেন।
সরকারি খরচে আইনি সেবার জন্য সরাসরি লিগ্যাল এইড অফিসে আবেদন করা যাবে অথবা চেয়ারম্যান, মেম্বার এর মাধ্যমে সমাজ সেবা, জাতীয় মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা মাধ্যমে যে কোন এনজিও থেকে লিগ্যাল এইড অফিস প্রেরনের মাধ্যমে আবেদন করা যায়।
লিগ্যাল অফিসার আবেদন পাওয়ার পরে আবেদনকারী আইনগত সহায়তা প্রাপ্তির উপযুক্ত কিনা তা প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হইলে যদি দেখেন যে, বিরোধীয় বিষয়টি আপোষযোগ্য তখন তিনি উভয়পক্ষকে নোটিশ দিয়ে একটি নির্দিষ্ট তারিখে লিগ্যাল এইড অফিসে হাজির হওয়ার জন্য বলবেন।
নির্দিষ্ট দিনে তিনি উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে উভয়পক্ষের বিরোধীয় বিষয়টি আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করবেন।
লিখেছেনঃ- এইচ, আর এন্ড এডমিন, প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেড।
Leave a Reply