হালিশহর আনন্দবাজার সাগর পাড়। আনন্দবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ গাইড।
আনন্দবাজার সাগর পাড়ে বিকেলের সময় টা প্রিয় জন বা পরিবার কে নিয়ে, কংক্রিটের পাথরে বসে আকাশ সাগর, সাগরের ঢেউ, সাগরের প্রশান্তিময় বাতাস, বাদাম চিবাতে চিবাতে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা সময় টা অন্যরকম এক অনুভূতি জাগবে আপনার মধ্যে, স্মৃতিময় হয়ে থাকবে আনন্দ বাজার সমুদ্র সৈকত বেড়াতে আসার দিন টি।
প্রিয়জনকে নিয়ে হাঁটতে পারেন সমুদ্রের গা ঘেঁষে সবুজ ঘাসে উপর দিয়ে, প্রিয় জনের হাতটি ধরে, অন্যরকম এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি জাগবে আপনার মাঝে।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসার পূর্বে দেখবেন সূর্য বঙ্গপসাগরের বিশাল জলরাশির মাঝে হারিয়ে যেতে চলেছে। তখন সূর্যের রক্তিম আভায় পুরো সমুদ্র সৈকতের রঙ সোনালী রূপ ধারণ করে। সে এক রোমাঞ্চকর সৌন্দর্য্য।
কি কি দেখবেন আনন্দবাজার সাগর পাড়ে,
সাগর
সাগরের ঢেউ
মাছ ধরার নৌকা
মাছ ধরার বোড
বন্দরের মালবাহী জাহাজ
কেওড়া বন
লিং রোড
সিমেন্টের তৈরি বসার স্থান
আনন্দবাজার সাগরপাড়ায় কি কি খাবেন,
কাকড়া ভাজি
পিয়াজু ভাজি
চটপটি
ফুচকা
হরেক রকমের মিষ্টি পান
পপকন ভাজা
রং চা
বাদাম, বুট
আনন্দবাজার সাগর পাড়ে ভালো মানের কোন রেস্টুরেন্ট নেই, কোন আবাসিক হোটেল নেই,
ভালো মানের খাবার খেতে হলে আপনাকে চলে যেতে হবে, বড় পোল, আগ্রাবাদ, ইপিজেড, অলংকার এ সকল এলাকায়।
কিভাবে যাবেন আনন্দবাজার সাগর পাড়ে,
হালিশহর বড়পুল থেকে টমটমে করে চৌচলা হুজুরের বাড়ির সামনে যাবেন, ১০ টাকা ভাড়া নিবে সেখান থেকে আবার টমটমে করে আনন্দবাজার সাগর পাড় ১৫ ভাড়া নিবে।
বড়পোল থেকে রিজার্ভ সিএনজি বা রিজার্ভ টমটম নিয়ে আনন্দবাজার যেতে পারবেন, ভাড়া নিবে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা।
আপনি চাইলে চট্রগ্রাম শহরের যেকোনো জায়গা থেকে রিজার্ভ সিএনজি বা কার নিয়ে আনন্দবাজার সাগর পাড়ে যেতে পারবেন।
আনন্দবাজার সাগর পাড়ে দুপুর তিনটার পর থেকে মানুষের ভিড় জমে, সকালের সময় তেমন মানুষ থাকে না, তাই বিকেলের দিকে যাওয়াটাই ভালো।
আপনি যদি চট্টগ্রাম শহরের বাহির থেকে আসেন আনন্দবাজার সাগরপাড় দেখতে তাহলে সকালের সময় অন্য জায়গায় ভ্রমণ করে তিনটার পরে এখানে আসতে পারেন। রাত সাতটা আটটা পর্যন্ত এখানে থাকতে পারবেন।
এখানের মজাটাই হল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এক থেকে দেড় ঘন্টা, সাগর পাড়ে বসে থাকা, সাগরের পাড়ে ঘুরাঘুরি করা, সাগরের পানিতে পা ভেজানো, সূর্য বঙ্গপসাগরের বিশাল জলরাশির মাঝে হারিয়ে যেতে দেখা।
আনন্দবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ গাইড টি লিখেছেন। বাংলাদেশি ব্লগার
ব্লগার দেলোয়ার
www.bloggerdelowar.xyz
Leave a Reply