এক রকম ভালোবাসা যখন তৈরী হয়েই গেলো
এর পর ভাবনা এলো দিন, মাস, বছর বা চিরদিনের টিকে থাকার।
বোকা মনকে বুঝাই কি করে ভালোবাসা আয়ুষ্কালহীন
জ্বলন্ত ফানুশ – ক্ষনিকের ওড়াউড়ি,
পরক্ষণেই নিস্তেজ – মুখ থুবড়ে পড়ে পায়চারি বিহীন নির্জন কোনো ছাদে, ওইটুকু তেজ নিয়েই আবার বসতি জ্বালায় অন্য কারোর!সম্পর্ক দুষণের ভোগা ভোগীতে এক সময় মনটা যে তাঁতিয়ে ওঠে, করে বিরুদ্ধাচারণ!
মিথ্যে আশ্বাস, বিশ্বাসে উবু হয়ে পড়ে প্রেম মৃত কাছিমের খোলসের মত!মাংসহীন শাঁসহীন সেই অনুভূতি তখন কেবল পোয়াতী ঘরের নজরদারীর মত মনের দুয়ারে দোল খায়!
মূলত এযে কুসংস্কার সনাতনী ঠাকুরমাদের বিশ্বাসের মত!প্রকৃত, নজর লাগা বলে কিছু নেই বিজ্ঞানে,
হৃদয় বলেও কিছু নেই।
এ কেবল দেহ মৃত্তিকার সঙ্গে মিলনের ব্যকুলতা অন্য আর এক জমিনের!ইউরিয়া বা টিএসপি ও ডিএপি ফলায় যেমন অতি চমৎকার ফসল,
তেমনই চমকদার সবুজ যৌন জৌলুসে ভরিয়ে দেয় দেহ তেপান্তর এই প্রেম।“ভালোবাসা” দেহ রসায়নের ল্যাবরেটরিতে উৎপন্ন ঊর্ধ গামী হিলিয়াম গ্যাসের বুদবুদ ছাড়া আর কিছুই তো নয়!
এখানে মমতা অনুপস্থিত, কর্তব্যের ভাগাভাগিতে নিশিদিন লেপ্টে থাকে বিরক্তি!লেহন পেষণ শেষে অসার দুটি দেহ ছাড়া “ভালোবাসা” আচমকা মেঘের মত ঘীরে ধরা আর উড়ে যাওয়ার অনুভব মাত্র!
তবুও কি নিরন্তর ভালোবাসি ভালোবাসি’র স্লোগান থেমে থাকে রাষ্ট্রের বিরোধী দলের ব্যার্থ চিৎকারের মত যাপিত রাজপথে?
তার চেয়ে,”ভালোবাসা” নামক পলেস্তারা যা জৈবিক কংকাল গুলোকে ঢেকে রেখেছে প্রবঞ্চকের মত তাকে চেছেপুছে চকচকে বার্নিশে উপস্থাপন করি না কেন প্রেমিক তোমাদের প্রেমের এনাটমি আর ফিজিওলজি ক্লাসের ব্ল্যাক বোর্ড ভরে তুলতে!
তবেই আর লুকুচুরি থাকবে না ব্যাবচ্ছেদে, তখন পারংগমতার থিসিস লিখতে পারবে কথিত “ভালোবাসার সভ্যতা” নিয়ে প্রেম বিশারদ গণ!
২ ডিসেম্বর, ২০২০ ঢাকা।
Leave a Reply