জাহানারা বুলা।
মনটা কেন নীরব তোমার, কবি? গহীন অন্ধকার!
এখানে এলে হাঁসফাঁস করে নতুন জীবন আমার!
গাছে গাছে সব বাঁধা দোলনায় পূর্বসূরীরা দোলে,
বলে দিও তুমি- “নবীন” এসেছে, এঁরা যেন যান চ’লে।
পাতায় পাতায় প্রজাপতি আর শাখায় শাখায় ফুল,
মগ ডালে আছে পাখির নীড়ও, পিঁপড়েরা অনুকূল!
কিন্তু, আমি যে কবিতার খাতা, নব্য ও আধুনিক,
তোমার কাছে যা আছে থাকুক, নাও কিছু পারশীক!
এখন চলে না তোমার মনের ছিন্নভিন্ন কথা,
পক্ষান্তরে ম্রিয়মাণ দেখ এই কবিতার খাতা!
কাল খুব ভোরে, একটি গাছের ছায়ায় বসেছি যখন,
দুমড়ানো এক কাগজের খাম চোক্ষুগোচরে তখন-
বহু পুরাতন অক্ষরে লিখা একটি প্রেমের চিঠি,
শব্দ গুলো জমাট বেঁধেছে, বাক্যরা ইতিউতি,
মনে হোলো যেন অষ্টআশীর বন্যায় ধুয়ে এসে-
জনহীন এই ছায়াটির তলে আছড়ে পড়েছে শেষে!
এখন তো প্রেম সাইবার নেটে, চলছে ইথারে ভেসে,
সঙ্গম সুখ ক্রয় করা যায় অনলাইন- ঘরে বসে!
সেখানে তোমার এনালগ সব কবিতা পড়বে কারা?
তারা যে এখন আধুনিক নিয়ে বেজায় আত্মহারা!
তুমি তো এখনো রেফারেন্স টানো বিহারীলালকে পড়ে,
অথচ, সময় মার্জুক ফ্যানে মারিজুয়ানাতে চ’ড়ে!
এখন জীবন বুঁদময় কবি, নন্দন পুড়ে ছাই,
তবুও, ভাবছো তোমাকে পড়ার পাঠক আকাল নাই?
হাজার হাজার বই কেনে ওরা চটি ও চমকদার,
মেনোপজ আপু খুঁজে বের করে, সাহারা চমৎকার!
আধুনিক সব গালাগাল মুখে মুডটা যখন অফ,
প্রতিটি কথার আগে ও পরে শুধু বলে – fuck off.
বুঝেছো কবি, এই প্রজন্মের আতর ঢালবে প্রাণে,
কবিতা লিখলে তখনই বইটি দারুণ গুণে ও মানে!
প্রমিত শব্দ দুর্বোধ্য যে এখনও ওদের কাছে,
তোমার কবিতা ঐ দেখ তাই পিছন সারিতে আছে!
Leave a Reply